কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ডেরা কার, কাঁচরাপাড়া - হালিশহরে ঢুকে জিজ্ঞাসা করতে হত না গত কয়েক বছর। রাস্তার পাশে ল্যাম্প পোস্ট, গাছপালা জানান দিত মুকুলের রাজত্ব এখানে। বেমালুম বোঝা যেত তাঁর নির্দেশ ছাড়া এখানো নড়ে না গাছের পাতাও। সেই কাঁচরাপাড়াতেই এখন মুকুল অতীত। তৃণমূলের সংগঠনে এখন দাপাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক। 


মুকুল বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন তাও মাস ঘুরতে চলল। আর এই ১ মাসে এলাকায় ক্রমশ বেড়েছে অভিষেকের প্রভাব। বিজেপিতে যোগ দিয়ে মুকুল রাজ্য রাজনীতিতে সাড়া ফেললেও তার কোনও প্রভাব নেই তাঁর নিজের এলাকাতেই। এলাকায় সর্বত্র অভিষেক আর মমতার ছবিতে ছয়লাপ। মুকুলের ছবি মিলতে পারে দু-একটা, তবে তা তৃণমূলের পতাকার নীচে পরিত্যক্ত অবস্থায়। মুকুলগড়ে অভিষেকই যে এখন তৃণমূলের চালিকাশক্তি তা বুঝতে কষ্ট হয় না এতটুকু। 


বিজেপির ব্যানারেও মুকুলের পোস্টার মিলবে কাঁচরাপাড়া - হালিশহরে। তবে সেজন্য রীতিমতো দূরবীণ নিয়ে বেরোতে হয়। মুকুল দলবদল করলেও তাঁরা যে তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছেন তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন একদা তাঁর ঘনিষ্ঠ কর্মীরা। তাঁদের কথায়, তৃণমূল মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নেমে গেলে কারও এক পয়সাও দাম নেই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের নেতা। তাঁদের ছবি তো টাঙাবই।


আরও পড়ুন - আরও পড়ল পারদ, কলকাতা ১৫.৫, শ্রীনিকেতন ১০.৯


কাঁচরাপাড়ার আকাশে বাতাসে জল্পনা চলছে মুকুলপুত্র শুভ্রাংশুকে নিয়েও। কবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন শুভ্রাংশু? কতদিন বাবার থেকে আলাদা থেকে স্বতন্ত্র রাজনৈতিক পরিচয় বহন করতে পারবেন তিনি, প্রশ্ন কলকাতা শহরতলির এই ছোট্ট বসতির আনাচে কানাচে।