রণজয় সিংহ: পচা ডিম দেওয়া অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার ভিজিট করতে এসে তালা বন্দী হলেন সুপারভাইজারও। ভিলেজ পুলিসের তৎপরতায় রক্ষা পেলেন তিনি। এই নিয়ে বুধবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুর গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, সোমবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুর-৩ অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের কর্মী বিনতি দাসের বিরুদ্ধে শিশুদের পচা ডিম ও অনিয়মিত খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও রাঁধুনীকে সেন্টারে তালা বন্দি করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় অভিভাবকেরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসেন সুপারভাইজার রুমি মন্ডল ও সিডিপিও আব্দুল সাত্তার। বুধবার সকালে সুপারভাইজার রুমি মন্ডল ওই সেন্টারটি ভিজিট করতে আসলে অভিভাবকেরা অভিযোগ জানাতে তার কাছে ছুটে যায়।


অভিযোগ ওঠে সুপারভাইজার অভিভাবকদের অভিযোগ না নিয়ে নিজের মতো করে সেন্টার ভিজিট করে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে অভিভাবকেরা সুপার ভাইজার, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং রাঁধুনিকে এক ঘরে আটকে রেখে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।


আরও পড়ুন: আরও বিপাকে কেষ্ট! তিহাড়ের বন্দিদশা থেকে মিলছে না রেহাই


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ভিলেজ পুলিস অনির্বাণ ঝা ও সিডিপিও আব্দুল সাত্তার। ভিলেজ পুলিসের তৎপরতায় রক্ষা পান সুপারভাইজার। এরপর সিডিপিও আব্দুল সাত্তার অভিভাবকদের কাছ থেকে সরাসরি অভিযোগ শোনেন এবং অভিযোগের ভিত্তিতে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বিনতি দাসকে এই সেন্টার থেকে ট্রান্সফার করিয়ে দেন।


আরও পড়ুন: Canning: রাস্তা না করে ভোট চাইতে গেলে তৃণমূল নেতাদের কোপানোর হুমকি ক্যানিং-এ


সুপারভাইজার রুমি মন্ডল জানান, অভিভাবকদের অভিযোগ শোনার জন্যই তিনি সেন্টারে এসেছিলেন। কিন্তু স্থানীয় অভিভাবকেরা তাঁকে অভিযোগ শোনার কোনো সুযোগই দেননি। উপরন্তু তারাই তাঁকে তালা মেরে আটকে রাখেন।


সিডিপিও আব্দুল সাত্তার জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে এই সেন্টার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে শিশুরা নিয়মিত খাবার পাবেন বলে জানান তিনি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)