ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচন নিয়ে চড়া সুর অধীর চৌধুরীর। রাজ্য থেকে রাজ্যসভায় কে যাবেন তা কংগ্রেসের বিধায়রাই স্থির করবেন। ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া কাউকে মানা হবে না। দিল্লিকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া কংগ্রেস পরিষদীয় দলের সিদ্ধান্ত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফের একবার রাজ্যসভায় নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গের কোটায় খালি হয়েছে ৫টি আসন। কে কে যাবেন সংসদের উচ্চকক্ষে? বিধানসভায় তৃণমূলের যা শক্তি তাতে তাদের ৫ জন প্রার্থী সরাসরি জিতে যাবেন। বিরোধী দলগুলি থেকে মাত্র ১ জন প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারেন। কোনও বিরোধীদলেরই একক শক্তিকে নিজেদের কোনও প্রার্থীকে জেতানোর কোনও ক্ষমতা নেই। অতএব ভরসা সমীকরণ। প্রথম সম্ভাবনা হচ্ছে, কংগ্রেসের কোনও প্রার্থীকে বামেরা সমর্থন দিয়ে জেতালেন। দ্বিতীয় সম্ভাবনা, সিপিএমের কোনও প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে জেতালেন কংগ্রেস বিধায়করা।  


আরও পড়ুন- BJP-তে গরম, কংগ্রেসে নরম, দলকে বার্তা মমতার


সূত্রের খবর, CPM-এর সীতারাম ইয়েচুরিকে সমর্থন দিতে কংগ্রেস বিধায়করা মোটামুটি রাজিও ছিলেন। কিন্তু, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবার বদলে গেল আবহাওয়া। দিল্লি গিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন তৃণমূল নেত্রী। তারপর কলকাতায় মমতা সরকারের প্রশংসা করলেন রাষ্ট্রপতি। যা এখনও হজম হচ্ছে না প্রদেশ নেতৃত্বের।


আরও সূত্রের এও খবর, প্রণব কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়কে এই রাজ্য থেকে কংগ্রেসের রাজ্যসভার প্রার্থী করার কথা ভাবা হচ্ছে। শর্মিষ্ঠা কংগ্রেস প্রার্থী হলে তৃণমূলও তাদের উদ্বৃত্ত ভোট দিয়ে সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছে। দলত্যাগী কংগ্রেস বিধায়কদের ভোটও কংগ্রেস প্রার্থীকেই দিয়ে আইনি জটিলতাও এড়াতে পারবে তৃণমূল।  


এই জল্পনা ছড়িয়ে পড়তেই তোলপাড় পড়ে যায় প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে। কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে নতুন সমঝোতা নিয়ে কার্যত অধীর চৌধুরীর জবাবদিহি চান উপস্থিত কংগ্রেস বিধায়করা। প্রস্তাব গৃহীত হয়, রাজ্য থেকে রাজ্যসভায় কে যাবেন তা কংগ্রেসের বিধায়করাই স্থির করবেন। ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া কাউকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না, জানিয়ে দেন কংগ্রেস বিধায়করা। পরিষদীয় দলের এই সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে দিল্লিতে কংগ্রেস নেতৃত্বকেও জানিয়ে দেওয়া হয়।


তবে দিল্লি থেকে সত্যিই প্রার্থী ঠিক করে দেওয়া হলে পরিস্থিতি ঠিক কোনদিকে মোড় নেবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘটনার জট পাকানোর এই শুরু।