প্রসেনজিৎ সরদার: ৩ কেজি ওজন! সাড়ে ৩ ফুট লম্বা! বিশালাকৃতির এই চন্দ্রবোড়া সাপের কামড় খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আঙুল কেটে এবং সাপটিকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে এলেন এক ব্যক্তি। চাঞ্চল্য ছড়াল হাসপাতালে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লম্বায় সাড়ে তিন ফুট! ওজন প্রায় ৩ কেজি! বিশাল আকৃতির এই তীক্ষ্ণ বিষধর সাপ চন্দ্রবোড়ার কামড়ে আক্রান্ত হন এক ব্যক্তি। কিন্তু একটুকু ঘাবড়ে না গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে নিজের আঙুল কেটে সাপটিকে ধরে নিয়ে নিজের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসেন তিনি। বিশাল আকৃতির সাপ নিয়ে হাসপাতালে ঢুকতেই হইচই পড়ে যায় হাসপাতালের রোগী, রোগীর পরিবার ও চিকিৎসক মহলে। যদিও চন্দ্রবোড়া সাপটি গুরুতর জখম হওয়ায় দু-মিনিটের মধ্যেই মারা যায়। শুরু হয় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা। হাসপাতালে তাঁকে তড়িঘড়ি সাপে কামড়ানোর প্রতিষেধক এভিএস ৩০ ভায়াল দেওয়া হয়। তারপর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ওই ব্যক্তির চিকিৎসা চালাচ্ছেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।


আরও পড়ুন: Jalpaiguri: ভয়ংকর ঝড়ে বিধ্বস্ত গ্রামের দিকে সাহায্যের 'সবুজ' হাত বাড়িয়ে দিল রামকৃষ্ণ মিশন...


জানা গিয়েছে, বারুইপুর থানার অন্তর্গত সুভাষগ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দা শঙ্কর দে-কে সাপে কামড়ায়। শঙ্করবাবুর বাড়িতে কোনও ভাবে তীক্ষ্ণ বিষধর ওই সাপটি ঢুকে পড়েছিল। ঘরের মধ্যে জমা করে রাখা কাপড়ের স্তূপের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছিল সেটি। সকালে বাড়িতে ঘর-বারান্দা পরিষ্কারের কাজ করছিলেন শঙ্কর। সেই সময়ে আচমকা বিশালাকৃতির চন্দ্রবোড়া সাপ তাঁর বাম হাতের আঙুলে কামড় দেয়। সঙ্গে সঙ্গে সাপটিকে ধরার চেষ্টা করেন তিনি। ধরতে পারেনও। তবে এটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মুহূর্তে সাপটিকে এক আছাড় মারেন শঙ্কর। গুরুতর জখম হয় সাপটি।


এরপর যাতে আঙুল থেকে সাপের বিষ বেরিয়ে যায় সেজন্য ব্লেড দিয়ে শঙ্কর তাঁর ক্ষতস্থান কেটে রক্ত বের করতে থাকেন। এদিকে হাতের শিরা কেটে যায় তাঁর। রক্তক্ষরণ শুরু হয়। রক্ত বন্ধ না হওয়ায় পরিবারের লোকজন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে ছোটেন। সাপটিকে একটি বস্তার মধ্যে ভরে তাঁরা সোজা রওনা দেন সুভাষগ্রামে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করলে, সাপ-সহ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে হাজির হন শঙ্কর। সেখানে বিশালাকৃতির সাপ দেখে হইচই পড়ে যায়।


আরও পড়ুন: LPG Price: দাম বাড়ল রান্নার গ্যাসের, জেনে নিন কলকাতার দর


ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডক্টর মৃন্ময় বিশ্বাস তড়িঘড়ি ওই ব্যক্তির চিকিৎসা শুরু করেন। অন্য দিকে, ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্প বিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ সমরেন্দ্র নাথ রায় আক্রান্তকে বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ  দেন। তিনি আরো বলেন, তড়িঘড়ি আসায় চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সুবিধা হয়েছে। তবে এ এক অদ্ভুত সাপে কামড়ানো রোগী। ক্ষতস্থান কেটে বিষ বের করতে গিয়ে অনেকটাই কেটে ফেলেছেন। এটা একেবারেই অনুচিত এবং অবাস্তব। আক্রান্তের হাতে ৫ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাপে কামড়ানো প্রতিষেধক এভিএস ৩০ ভায়াল দেওয়া হয়েছে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)