কলকাতার চার হাসপাতাল ফেরালেও, ফেরালেন না মমতা
নিজস্ব প্রতিনিধি: সারা রাত হন্যে হয়ে হাসপাতালের দরজায় দরজায় ঘুরেও একখানি বেড মিলল না উত্তরবঙ্গ থেকে আসা মুমূর্ষ রোগীর। মহানগরের চারটি প্রথম সারির সরকারি হাসপাতাল মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় অবশেষে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেই ছুটলেন রোগীর পরিজনরা। নিরাশ হতে হল না, মমতার নির্দেশেই শেষমেশ ১২ ঘণ্টা আগে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া রাজ্যের একমাত্র সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমেই ভর্তি নিল ওই রোগীকে।
আরও পড়ুন- প্রাইভেট প্র্যাক্টিসের জন্য প্রসূতিকে অন্যত্র ট্রান্সফার, অ্যাম্বুল্যান্সেই সন্তান প্রসব
সোমবার, গায়ের উপর গাছের গুঁড়ি পড়ে গুরুতম জখম হন ধূপগুড়ির বাসিন্দা শাহবুল আলম। গুঁড়ির আঘাতে দেহের নীচের অংশ অসাড় হয়ে যায়। প্রথমে স্থানীয় বীরপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রেফার করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু সেখানেও কোনও সুরাহা না মেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। রোগীকে নিয়ে সন্ধে ৭টা নাগাদ রাজ্যের একমাত্র সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পরিজনরা পৌঁছলে কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে কোনও বেড নেই, তাই ভর্তি করা যাবে না। সেখান থেকে তারপর এনআরএস, শম্ভুনাথ পণ্ডিত ও ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেও যান তাঁরা। কিন্তু কোথাও শাহবুলকে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পরিজনদের। অবশেষে রাত দেড়টা নাগাদ বৃষ্টি মাথায় রোগীকে নিয়ে ফের এসএসকেএমে ফিরে আসেন তাঁর পরিজনরা।
আরও পড়ুন-প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে স্বামীকে খুন করে পুঁতে দিল স্ত্রী
দ্বিতীয় বার রোগী এসএসকেএমে এলে বাড়ির লোকজনদের বলা হয়, সকাল হলে আউটডোরে দেখাতে। নিরুপায় হয়ে গাড়ির মধ্যেই রাত কাটান গুরুতর জখম শাহাবুল। ২৪ ঘণ্টায় প্রথম এই খবর দেখানো হয়। তারপরই একবুক আশা নিয়ে রোগীর পরিজনরা ছোটেন কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির উদ্দেশে। ফল মেলে তাতেই, মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের নির্দেশ আসায় তত্ক্ষণাত্ বেডের ব্যবস্থা করে ফেলে দু-দু’ বার ফিরিয়ে দেওয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে পুলিসি পাহারায় হাসপাতালে পৌঁছন অসুস্থ শাহবুল।