জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরোঃ আশ্বিনের ঊষালগ্নে সমগ্র বাংলা এবং বাঙালি মেতে ওঠে ঘরের মেয়ে ঘরে ফেরার আনন্দে। ঠিক তখনই শালবনি থেকে আলিপুরদুয়ার অঞ্চলের মানুষদের চোখ হয়ে ওঠে অশ্রুসজল। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়া পাঠ সেইসময় আনন্দের বার্তা এনে দেয় বাংলার আকাশে-বাতাসে। অথচ শালবনি কিংবা উত্তরবঙ্গের আকাশ তখন ভারি হয়ে ওঠে স্বজন হারানোর শোকে। কিন্তু সমগ্র বাংলা যখন পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে তখন শালবনি অথবা আলিপুরদুয়ারের মানুষদের মন ভার হয়ে ওঠে কেন? তার কারণ এই মানুষরা অনার্য গোষ্ঠীর মানুষ। এদের পদবীও অসুর। ইতিহাস বলে দীর্ঘদিন ধরে আর্য গোষ্ঠীর প্রভুত্ত্বের ফলে একসময় বাধ্য হয়েই অনার্য গোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যায় আর্য সংস্কৃতি। কিন্তু তারপরেও অনার্য গোষ্ঠীর মানুষরা আজও অসুরকে পুরুষতান্ত্রিকতার প্রতীক হিসেবে দেখেন না। আর সেই কারণেই আজকের দিনেও দুর্গাপুজোর দিনগুলোই ভিজে ওঠে তাদের চোখ। শুধু তাই নয়, তাঁরা অনেকে এইসময় মেতে ওঠেন অসুরপুজোতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুনঃ Durga Puja 2022: জমিদার নেই, দুঃস্থ গ্রামবাসীরাই চাঁদা তুলে বাঁচিয়ে রেখেছেন বাহিনবাড়ির পুজো!


 কলকাতার বুকে এমন কোন অসুর পুজোর খবর জানা যায় না। কিন্তু জানেন কি খোদ মহানগরী কলকাতার বুকেই চলে অসুর নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট? থিম পুজোয় চলা নানা এক্সপেরিমেন্টের সঙ্গেই সাধারণত পরিচিত বাঙালি। এমনকি মা দুর্গার চার সন্তানকে নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা কম হয় না। কিন্তু কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী ইন্দ্রজিৎ পাল এক্ষেত্রেও এনেছেন নতুনত্ত্ব। কারণ উমাদেবী নয়, তাঁর এক্সপেরিমেন্টের সাবজেক্ট মহিষাসুর। এর আগের দু’বছরেও মহিষাসুর নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে দর্শকদের চমকে দিয়েছিলেন ইন্দ্রজিৎ। করোনা জ্বরে তখন কাঁপছে বাংলা। তার মধ্যেও ইন্দ্রজিতের এক্সপেরিমেণ্টে কোন ছেদ পরেনি। গত দু’বছরে তিনি তৈরি করেছিলেন করোনাসুর এবং ডেল্টাসুর। অতিমারীর কারণে ২০২০ সালে মণ্ডপে ছিল ‘নো এন্ট্রি।‘ তারপরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছিল করোনাসুর। তারপরের বছরও ইন্দ্রজিতের তৈরি ডেল্টাসুর দর্শকদের সমাদর পেয়েছিল। এবার পুজোয় ইন্দ্রজিতের অস্ত্র ভাইরাসুর। অর্থাৎ ভাইরাস অসুর।


কিন্তু ইন্দ্রজিতের তৈরি অসুরের নামের পিছনে রহস্যটা ঠিক কি? ইন্দ্রজিতের বক্তব্য করোনাসুর এখন মৃত্যুশয্যায়। ডেল্টাসুরেরও মৃত্যু ঘটেছে। কিন্তু করোনা আতঙ্ক এখনও বাসা বেঁধে আছে মানুষের মনে। সেই ভাবনা থেকেই ভাইরাসুরের উৎপত্তি।মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবাসের পাশেই আমরা সবাই ক্লাবের পুজো। সেখানেই এবার ভাইরাসুরকে বধ করবেন ১৩ হাতের মা দুর্গা। করোনা, ডেল্টাকে হারিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে মানুষ। তেমনই এই ভাইরাসুরকেও হারাতে সমর্থ হবেন তাঁরা। এমনই বিশ্বাস কুমারটুলির মৃৎশিল্পী ইন্দ্রজিৎ পালের।


আরও পড়ুনঃ Durga Puja 2022 : রুপোর ছাতা-পালকি-রাজস্থানি খিলান বা একটা গ্রাম্য পুজোর গল্প...


 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)