নিজস্ব প্রতিবেদন :  শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বকখালির কাছে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের বেগ ছিল ১১৫ থেকে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ ভূভাগে ঢুকে পড়ে অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল'। তবে সন্ধে থেকে প্রায় একই জায়গায় দাঁড়িয়ে বুলবুল। রাতে দশটার পর থেকে ধীরে ধীরে পূর্বদিকে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঝড়। তবে বুলবুল শক্তি হারালেও গতি শ্লথ হওয়ায় কলকাতা সহ পাঁচ জেলায় বৃষ্টির পরিমান আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভূভাগে বুলবুল প্রবেশ করে বকখালির কাছে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। মৌসুনি দ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানায় তাণ্ডব চালায় বুলবলু। দুই চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ঝড়ের তাণ্ডবে পূর্ব মেদিনীপুরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দিঘা, মন্দারমনি, খেজুরিতে ভেঙ্গে পড়ে বেশ কয়েকটি কাঁচা বাড়ি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী কয়েক ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টি হবে কলকাতায়। তবে রবিবার দুপুরে মধ্যে শক্তিক্ষয় হবে বুলবুলের।


 



সন্ধে থেকে প্রায় একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ ভূভাগে প্রবেশ করে বুলবুল। ধীরে ধীরে পূর্বদিকে অগ্রসর হচ্ছে। সুন্দরবন থেকে বাংলাদেশে ঢুকবে বুলবুল। পূর্বভাস মতো আজ মধ্য রাতের পর ভারতীয় ভূখণ্ড পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার কথা ছিল বুলবুলের। কিন্তু বকখালি থেকে খুব সামান্য কয়েক কিলোমিটার এগিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। কার্যত কোনও অগ্রগতিই হয়নি ঘূর্নিঝড়ের।  


আরও পড়ুন- বুলবুলের দাপটে বিপর্যস্ত সুন্দরবনে দুর্গতদের পাশে কান্তি গাঙ্গুলি


এদিকে বুলবুলের প্রভাবে কলকাতায় ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এবর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের গতি শ্লথ হওয়ায় দুই পরগণা, হাওড়া, কলকাতা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে যে পরিমান বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। তার চেয়েও বেশি বৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে রবিবার সকাল থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে বলে হাওয়া অফিস যে পূর্বাভাস দিয়েছিল সেটাও বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা। বিকেলের পর দুর্যোগ কাটতে পারে বলে মনে করছে হাওয়া অফিস।


উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় দেড় লাখের বেশি মানুষকে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। সেখান থেকেই পরিস্থিতির উপর নজর রাখেন মুখ্যমন্ত্রী।