বুলবুলের দাপটে বিপর্যস্ত সুন্দরবনে দুর্গতদের পাশে কান্তি গাঙ্গুলি
মানুষের দরজায় দরজায় ঘুরে সকলের খোঁজখবর নিচ্ছেন রায়দিঘির প্রাক্তন বিধায়ক কান্তি গাঙ্গুলি।
মৌমিতা চক্রবর্তী
আয়লার পর বুলবুল। সুন্দরবনে দুর্গতদের পাশে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ন হলেন কান্তি গাঙ্গুলি। অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল-এর প্রভাবে সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হিঙ্গলগঞ্জ, ঝড়খালি, সন্দেশখালি এলাকায় ঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। রায়দিঘির প্রত্যন্ত গোরাগাছি এলাকায় মানুষের দরজায় দরজায় ঘুরে সকলের খোঁজখবর নিচ্ছেন রায়দিঘির প্রাক্তন বিধায়ক কান্তি গাঙ্গুলি।
"বাড়িতে বুড়ো বাচ্চা আছে কেউ? এখনও এখানে কি করছিস? স্কুলে পাঠিয়ে দে।" এই বলে রাতের অন্ধকারে সকলের খোঁজ নিচ্ছেন তিনি। এলাকায় কারোর কাছে দাদু, কারোর কাছে জেঠু তিনি। ৭৫ পেরিয়েও কান্তি গাঙ্গুলি এদিন সন্ধে থেকেই যেন তরুণ কমরেড।
আরও পড়ুন - হাওড়ার পর বুলবুলের প্রভাবে এবার ট্রেন বাতিল শিয়ালদাতেও
আয়লার সময় তাঁর পারফরম্যান্স দেখেছে গোটা রাজ্য। আজ ফের পুরোনো মেজাজে সাদা ধুতি হাঁটুর ওপর তুলে দরজায় দরজায় ঘুরছেন তিনি। কান্তি গাঙ্গুলির স্ত্রীর নামে এলাকায় 'জবাবিরাজ জ্ঞানায়ন পাঠশালা'-তে সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২০০ জন ঠাঁই নিয়েছেন ওখানে। রাখা হয়েছে মেডিকেল ক্যাম্প। রাতের মেনু ডাল, ভাত, সবজি। স্কুলেই রয়েছেন তিনি নিজেও। কান্তি বাবুর বক্তব্য, "আমি পাকা বাড়িতে থাকব, আর ওরা কোথায় যাবে।"বিনামূল্যে ওষুধ, ডাক্তার সব নিয়ে রাতে পাহারায় কান্তি।