Jhargram: জঙ্গলমহলে ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে জাতিসত্তার আন্দোলন! এবার প্রতিবাদে সদগোপ সমাজ...
Jhargram: জঙ্গলমহলে জাতিসত্তার আন্দোলন ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে এক গোষ্ঠী থেকে অন্য গোষ্ঠীতে, এক সম্প্রদায় থেকে অন্য সম্প্রদায়ে। এবার শুরু হল সদগোপ সমাজের আন্দোলন। লোকসভা ভোটের ঠিক আগে ঝাড়গ্রামে কুড়মি, মুণ্ডা ভূমিজদের আন্দোলনের মধ্যে নতুন সংযোজন।
সৌরভ চৌধুরী: ভোটের ঠিক আগেই ঝাড়গ্রাম জেলায় কুড়মি, মুণ্ডা ভূমিজদের আন্দোলনের মধ্যে নতুন সংযোজন ঘটল। এবার শুরু হল সদগোপ সমাজের আন্দোলন। লোকসভা নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহলে জাতিসত্তার আন্দোলনে সরব হলেন সদগোপেরাও। অর্থাৎ, জঙ্গলমহলে জাতিসত্তার আন্দোলন ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে এক গোষ্ঠী থেকে অন্য গোষ্ঠীতে, এক সম্প্রদায় থেকে অন্য সম্প্রদায়ে।
আরও পড়ুন: Malbazar: দাউ দাউ জ্বলছে জঙ্গল! পুড়ছে সরীসৃপ থেকে অঢেল সবুজ...
লোকসভা ভোটের আগে জাতিসত্তার দাবিকে আরও জোরালো ভাবে প্রশাসনের নজরে আনতে এবার পথে সদগোপ সম্প্রদায়ও। নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে গতকাল, রবিবার সদগোপ সমাজ একত্রিত হয়েছিল লোধাশুলি এলাকার এক অতিথিশালায়। রবিবার ছিল সদগোপদের জেলা সম্মেলন। তপসিলি জাতি-ভুক্ত হওয়ার দাবিতে এবার সরব তারা। ঝাড়খণ্ডের সদগোপ সমাজের রাজ্য সভাপতি রণজিৎ বালা জানান, অন্যান্য রাজ্যে আমরা ওবিসি তালিকা-ভুক্ত হলেও বাংলায় তা হয়নি। বাংলায় তালিকাভুক্ত না হওয়ায় কেন্দ্রীয় সুযোগ থেকে বঞ্চিত তাঁরা। তিনি জানিয়েছেন, রবিবারের এই আলোচনাসভায় আগামী দিনের রূপরেখা ঠিক করা হল এবং গঠন করা হল জেলা কমিটি। রণজিৎ বালা ছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন সদগোপ আন্দোলনের ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি চন্দ্রশেখর সাউ, সদগোপ সমাজের নেতা অবনীকুমার ঘোষ।
এর আগে জাতিসত্তার দাবিতে সরব হতে দেখা গিয়েছে কুড়মিদেরও। তাঁরা বিভিন্ন দাবিতে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। যা লোকসভা ভোটে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। মুণ্ডা ভূমিজ সংগঠনও বঞ্চনার দাবিতে সরব হয়েছে। তারা মুখ্যমন্ত্রীকে এ বিষয়ে লিখিত ভাবে জানানোর চেষ্টাও করে। পাশাপাশি আগামী দিনে তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেয় তারা।
আরও পড়ুন: Maha Shivratri 2024: কেন ফাল্গুন-সোমবারে করা শিবপুজোয় ভক্ত লাভ করেন দেবাদিদেবের অতি বিরল আশিস?
ফলে, জঙ্গলমহল জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে নানা আন্দোলন। চাপ বাড়ছে রাজনৈতিক দলগুলির উপর। লোকসভা নির্বাচনের আগে-আগে জঙ্গলমহলে একের পর এক আন্দোলন সংগঠিত হওয়ায় ইতিমধ্যেই যথেষ্ট চাপে রাজ্যের শাসকদল, অন্তত তেমনই পর্যবেক্ষণ সংশ্লিষ্ট মহলের। আর এরই মধ্যে নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠল সদগোপ সমাজের আন্দোলন।