নিজস্ব প্রতিবেদন:  মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়ি সংস্কারে পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। শুক্রবার বাইরের কাজ শুরু হয়। তার আগে পাম অ্যাভিনিউয়ে যান আবাসন দফতরের প্রতিনিধিরা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখনই সেই কাজ শুরুতে আপত্তি রয়েছে তাঁর পরিবারের। সেক্ষেত্রে পাশের ফ্ল্যাটে বুদ্ধবাবুকে স্থানান্তরিত করে ফ্ল্যাটের ভিতরের কাজ শুরুর প্রস্তাব রেখেছে আবাসন দফতর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাম অ্যাভিনিউয়ের আবাসনে একতলার বাঁদিকের ফ্ল্যাটেই থাকেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কিন্তু, দীর্ঘদিন কেন সংস্কার হয়নি ওই আবাসনের? গত বুধবারই এনিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন পুর কমিশনার তথা আবাসন সচিব খলিল আহমেদকে।


আরও পড়ুন: দোলের রাতে আরাবুল ইসলামের মোবাইলে ফোন! চিন্তিত দাপুটে তৃণমূলনেতা


এরপর শুক্রবারই পৌছে যান আবাসন দফতরের আধিকারিকরা। তার আগে কথা বলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর সঙ্গে। মীরাদেবী জানিয়েছেন, বুদ্ধবাবু অসুস্থ। তাই ঘরের ভিতরের কাজ করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আবাসন দফতরের প্রস্তাব, পাশের ফ্ল্যাটে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে স্থানান্তরিত করে সংস্কারের কাজ শুরু করা যেতে পারে। যদিও এনিয়ে কিছু জানাননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী। এরপর শুক্রবারই আবাসনের বাইরের কাজ শুরু করে দেওয়া হয়।


পাম অ্যাভিনিউয়ের যে আবাসনে থাকেন বুদ্ধবাবু, সেখানে ফ্ল্যাটগুলি আবাসিকদের হস্তান্তর নিয়ে মাস ছয়েক আগেই উদ্যোগ নিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কাজ না হওয়াতেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।


আরও পড়ুন: কমিউনিস্ট পার্টি আর মমতা এখন এক হয়ে গেছে: মুকুল


বৃহস্পতিবারই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে অক্টোবরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যখন অসুস্থ হয়েছিলেন, তখনও দেখা করতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে দোলের শুভেচ্ছা বার্তাও জানান মমতা। আর তাতেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি বলেন, 'কমিউনিস্ট পার্টি আর মমতা এখন এক হয়ে গিয়েছে।' তবে এই কাজ করে, মুখ্যমন্ত্রী যে তাঁর সংস্কারমুখী চিন্তাভাবনাকেই আরও একবার প্রমাণ করলেন, তা মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।