নিজস্ব প্রতিবেদন: ভৌগোলিক পরিচয় পেল রসগোল্লা। ওড়িশাকে হারিয়ে রসযুদ্ধে জয়ী হয়েছে বাংলা। তবে রসগোল্লার স্বীকৃতিতে এবার গোঁসা হয়েছে ছানাবড়ার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওপরে কড়া। ভিতরে মচমচে। জিভে দিলেই রস। রসনার এমন তৃপ্তিলাভে ছানাবড়া অদ্বিতীয়। এই স্বাদকে সঙ্গী করেই আওয়াজ তুলছে ছানাবড়া। ছানাবড়ার রাজ্য মুর্শিদাবাদের দাবি, রসগোল্লা যদি জিআই স্বীকৃতি পায়, তাহলে ছানাবড়া নয় কেন? 


ছানাবড়া কী? কী বা তার ইতিহাস?


প্রায় ২০০ বছর আগে কাশিমবাজারের রাজা শ্রী মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী সাহেবদের মিষ্টি উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। রাজা তাঁর ভাণ্ডারের কারিগরদের মিষ্টি তৈরির আদেশ দেন। ছানাকে ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে ঘি দিয়ে ভাজেন কারিগররা। সেই ভাজা মিষ্টি গাঢ় রসে ডুবিয়ে দেন। অপূর্ব সেই স্বাদ। সেই মিষ্টি ইংরেজদের উপহার দেন রাজা। তাতে বেশ সুনামও করে ইংরেজরা। মিষ্টির নাম জানতে চান। মণীন্দ্রচন্দ্র বলেন, যেহেতু ছানাকে ঘি দিয়ে ভাজা হয়েছে, তাই এর নাম ছানাবড়া। 


আর সেই থেকেই পথচলা শুরু। ৭০-৮০ বছর আগে খাগড়া এলাকার পটল সাহা ওরফে পটল ওস্তাদ প্রচারের আলোয় আনেন এই মিষ্টি। এখন আর শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের বাতাসও ছানাবড়ার গন্ধে ম ম করে।


এতো গেল ছানাবড়ার গল্প, ওদিকে আবার সরপুরিয়া সরভাজাকেও GI স্বীকৃতির দাবি তুলেছে কৃষ্ণনগর।


সরপুরিয়া সরভাজারও আবার ইতিহাস আছে। জানেন এর সৃষ্টির রহস্য কী?


কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আমলে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে ভাল মিষ্টি আনতে বলেন রাজা। সেই মিষ্টি ব্যবসায়ী একরাতেই বানিয়ে ফেলেন সরপুরিয়া বা সরভাজা। রাজবাড়ির প্রশংসা পায় এই মিষ্টি। সেই থেকেই মানুষের মুখে মুখে ফেরে  কৃষ্ণনগরের সরপুরিয়া সরভাজার নাম। 


স্বাদে মাত। আর এই স্বাদের হাত ধরেই GI স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টায় কৃষ্ণনগরের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ কৃষ্ণনগরে এসে ব্যাগ ভরে নিয়ে যান সরপুরিয়া সরভাজা।