রানিনগরে ফের উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক, ঝুঁকি না নিয়ে NIA-কে নমুনা পাঠাল রাজ্য পুলিস
তদন্তকারীরা আরও মনে করছেন, ধৃত জঙ্গিদের উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষ মেরে সন্ত্রাস সৃষ্টি করা। মডিউলের লক্ষ্য ছিল `মিনি অ্যাটাক` করা
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুর্শিদাবাদের রানিগরে মিলল আরও বিস্ফোরক। প্রচুর স্প্লিন্টার ঠাসা চকলেট বোমা উদ্ধার করে জেলা পুলিস। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে বিস্ফোরকের নমুনা এবং ছবি পাঠিয়ে বিষয়টিকে জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রানিনগর ধৃত সুফিয়ানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের সঙ্গে সাদৃশ্য আছে বলে মনে করছে পুলিস।
গত রবিবার আবু সুফিয়ানের বাড়ির ভিতরে একটি গর্ত থেকে চকলেট বোমার মোড়কে স্প্লিটার উদ্ধার হয়। তদন্তকারীদের দাবি, উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক আদতে স্প্লিটার বোমা। ওই বোমাগুলি শক্তিশালী করার জন্য স্প্রিং, বল বিয়ারিং ব্য়বহার করা হয়েছে।
তদন্তকারীরা আরও মনে করছেন, ধৃত জঙ্গিদের উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষ মেরে সন্ত্রাস সৃষ্টি করা। মডিউলের লক্ষ্য ছিল 'মিনি অ্যাটাক' করা। এনআইএ’র হাতে আসা বাজেয়াপ্ত সামগ্রী মানুষ মারার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে। ‘মিনি অ্যাটাকে’র জন্য এ সব সামগ্রী প্রয়োজন হয়। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এরা বড় আকারে বিষ্ফোরক নিয়ে আসত না। তাই এলাকার নজরে বিষয়টি আসেনি। অল্প অল্প করে সামগ্রী আনাত। সেটা এক জায়গায় মজুত করা হত না। মডিউলের মেম্বারদের কাছে ভাগ করে দেওয়া হত।
আরও পড়ুন- 'বাংলা এখন টেররিস্ট হাব, খাগড়াগড়ে সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয়েছে বলে চালাতে চেয়েছিলেন মমতা'
রানিনগরের কালীনগরের সুফিয়ানের বাড়ি থেকে প্রচুর বিস্ফোরক এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। ৮ ফুট বাই বারো ফুট এবং আট ফুট গভীর গর্তের একটি চেম্বার ঘরের ভিতর ছিল। পরিবারের দাবি, শৌচালয়ের জন্য ওই চেম্বার তৈরি করা হয়। ওই চেম্বার থেকেই উদ্ধার হয়েছে বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম, মশলা এবং আগ্নেয়াস্ত্র।