'বাংলা এখন টেররিস্ট হাব, খাগড়াগড়ে সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয়েছে বলে চালাতে চেয়েছিলেন মমতা'
তদন্তে উঠে এসেছে, জঙ্গিরা ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করত
নিজস্ব প্রতিবেদন: আলকায়দা জঙ্গি সন্দেহে মুর্শিদাবাদের ৯ যুবক ধরা পড়ায় রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গ এখন জঙ্গিদের আখড়া হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-এত দিন হাত পা বাঁধা ছিল কৃষকদের, মুক্ত করল মোদী সরকার!
সোমবার দুর্গাপুরে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় রাজ্যে এখন আল কায়দার ডেরা। মমতা চাইছেন এখানে কেউ যেন ধরা না পড়ে। রোহিঙ্গাদের এনে এখানে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের প্রসঙ্গ টেনে রাজু বলেন, খাগড়াগড়ে যখন বিস্ফোরণ হয়েছিল তখন তা সিলিন্ডার ব্লাস্ট বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিলেন মমতা। তৃণমূল নেতার ঘরে বিস্ফোরণ। তা চেপে যেতে চেয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, কেরল ও মুর্শিদাবাদ থেকে আলকায়দার ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এর কেউ মুর্শিদাাদের জলঙ্গীর, কেউবা ডোমকলের বাসিন্দা। এনিয়েই এখনও তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির দাবি, রাজ্য সরকারকে জানিয়ে এনআইএ অভিযান চালালে এভাবে জঙ্গিদের ধরা যেত না। তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর, লোন উলফ কায়দায় দেশে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা ছিল এদের। ২২ জনের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে নিজেদের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদান করত এরা। মালদহ পর্যন্ত ছড়িয়ে এদের জাল।
আরও পড়ুন-'কিতল ফর ইসলাম', দ্বিতীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ফাঁস জঙ্গি নেটওয়ার্কের আরও সদস্য ও জেলার নাম!
রাজ্যে এতবড় জঙ্গি র্যাকেট ধরা পড়াকেই এখন হাতিয়ার করছে বিরোধীরা। তদন্তে উঠে এসেছে, জঙ্গিরা ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করত। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমেই চলত জঙ্গি সংগঠনের হয়ে নিয়োগ। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমেই করাচি থেকে আসত নির্দেশনামা। সেই অনুযায়ী এখানে কাজ করতেন 'লোন উল্ফ'রা। এবার তদন্তে উঠে এল যে শুধু ডার্ক ওয়েব নয়, তার থেকে আরও হাইটেক প্রযুক্তির 'ডিপ ওয়েব'-এরও ব্যবহার করত জঙ্গিরা।