নিজস্ব প্রতিবেদন : গাদিয়ারার লজে বৃদ্ধের রহস্যমৃত্যু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি তাঁর স্ত্রী। তবে আরও রহস্য ঘনীভূত হয়েছে বৃদ্ধের দেওয়া ঠিকানায়। যে ঠিকানা তাঁরা দিয়েছেন, সেই ঠিকানায় এখন আর তাঁকে থাকেনই না।  কী কারণে তবে গাদিয়ারায় গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন দম্পতি? তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত বুধবার গাদিয়াড়ার একটি সরকারি লজে ওঠেন এক বৃদ্ধ দম্পতি, পরাগ ও তাপসী পাল চৌধুরী। শুক্রবার তাঁদের চেক আউট করার কথা ছিল। কিন্তু শত ডাকাডাকিতেও দরজা খোলেননি তাঁরা। খবর দেওয়া হয় পুলিসে। পুলিস এসে দরজা খুলে অচৈতন্য অবস্থায় দম্পতিকে উদ্ধার করে।


আরও পড়ুন, '৭ মিনিটে খেল খতম!' নিজে দাঁড়িয়ে থেকে স্বামীকে খুন করান স্ত্রী


হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকেরা পরাগ পাল চৌধুরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন তাপসী পাল চৌধুরী। ঠিকানা খুঁজতে গিয়ে হোটেলে অ্যাড্রেস বুক থেকে পুলিস জানতে পারে, তাঁদের বাড়ি দক্ষিণ কলকাতার পাটুলিতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায়, দম্পতি এখন আর সেখানে থাকত না। হোটেলের অ্যাড্রেস বুকে পুরনো ভাড়া বাড়ির ঠিকানা দিয়েছিল দম্পতি।


এরপর খোঁজখবর শুরু করে ভবানন্দ রোডে পাল চৌধুরী দম্পতির বর্তমান ঠিকানার খোঁজ পাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে জানা যায়, গাদিয়ারা যাওয়ার কথা ঘুণাক্ষরেও জানতেন না প্রতিবেশীরা। কী কারণে গাদিয়ারার নামটা প্রতিবেশীদের কাছে চেপে গিয়েছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি? কেন হোটেলে তথ্য হিসেবে পুরনো ভাড়া বাড়ির ঠিকানা দিয়েছিলেন? সব বিষয়ই খতিয়ে দেখছে পুলিস।


আরও পড়ুন, 'খেতে দেব', ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে


 প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, মানসিক অবসাদে ভুগছিল ওই দম্পতি। জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ায় কর্মরত অবস্থায় দুরারোগ্য ব্যধিতে মৃত্যু হয় একমাত্র ছেলের। সন্তান মৃত্যুর শোকেই ওই দম্পতি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে মনে করা হচ্ছে।