Fake Marksheet Fraud Racket: অজয়ের পাড়ে নির্জন রিসর্টে জাল মার্কশিটের কারখানা, হানা দিল আহমেদাবাদ পুলিস
রবিবার আহমেদাবাদ সাইবার ক্রাইম বিভাগের ইন্সপেক্টর এম এম দেশাই কাঁকসা থানার সাহায্যে দেউলের ওই রিসর্ট থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে
নিজস্ব প্রতিবেদন: পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় অজয় নদের পাড়ে একটি রিসর্টে বসে চলছিল মার্কশিট জাল করার কারবার। সেখানে থেকেই বনগাঁ ও বিরাটির ২ যুবককে গ্রেফতার করল আহমেদাবাদের সাইবার ক্রাইম সেল। ওই জালিয়াতি থেকে বিপুল টাকা আয় করে কাঁকসার মলানদিঘির বিষ্ণুপুরের জঙ্গল লাগোয়া বাবাজিতলায় প্রায় ১০ বিঘা জমির উপর রিসর্ট নির্মাণ করছিলেন তারা। সেই নির্মাণ বন্ধ করে দিল বন দফতর।
দুর্গাপুরের এক নামকরা অর্থোপেডিক সার্জেনের কাঁকসার দেউল সংলগ্ন রিসর্ট বছর ৪ আগে লিজে নিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ও বিরাটির ২ যুবক শুভাঙ্কুর ঘোষ এবং অতনু পাত্র। অজয় নদের পাড়ে এই নির্জন রিসর্টেই গড়ে ওঠে জাল মার্কশিটের 'কারখানা'। উন্নত ইন্টারনেট সংযোগ ও নজরদারির জন্যে একাধিক সিসি ক্যামেরার উপস্থিতিতে চলছিল লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা।
এই প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করল আহমেদাবাদ পুলিসের সাইবার ক্রাইম শাখা। আহমেদাবাদ সাইবার ক্রাইম বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহমেদাবাদের ফার্মেসি কাউন্সিলের ওয়েবসাইট হ্যাক করে বি-ফার্মের জাল মার্কশিট তৈরি করত এই ২ যুবক। এই মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের হয় আহমেদাবাদ পুলিসের সাইবার ক্রাইম বিভাগে। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমেই এই রাজ্যের কাঁকসায় হদিস মেলে এই ২ যুবকের। একাধিক নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করে জাল মার্কশিট ও শংসাপত্র তৈরি করে দেশের বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে মোটা টাকায় বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস শুধাঙ্কুর ও অতনুর বিরুদ্ধে।
রবিবার আহমেদাবাদ সাইবার ক্রাইম বিভাগের ইন্সপেক্টর এম এম দেশাই কাঁকসা থানার সাহায্যে দেউলের ওই রিসর্ট থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে। চোখের আড়ালে বসে লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়ে সেই অর্থে ব্যবসায় বিনিয়োগ করে ধৃত দুই যুবক। কাঁকসার মলানদিঘির বিষ্ণুপুরের জঙ্গল লাগোয়া বাবাজি তলায় প্রায় ১০ বিঘা জমির উপর রিসর্ট নির্মাণ করছিল তাঁরা।
স্থানীয় বন সুরক্ষা কমিটির তরফে স্থানীয় বন সুরক্ষা কমিটির তরফে অভিযোগ পেয়েই মঙ্গলবার সেখানে হানা দেয় দুর্গাপুরের রেঞ্জার সহ বন দফতরের আধিকারিকরা। তাঁরা ওই নির্মাণ বন্ধ করে দেন। বন সুরক্ষা কমিটির সদস্য সুজয় পাত্র জানান, " ফরেস্ট ল্যান্ড পাশেই থাকায় সমীক্ষা ও মাপ করে তবেই নির্মাণ শুরু করা যাবে বলে নির্মাণ বন্ধ করা হয়েছে।" মলানদিঘি পঞ্চায়েতের প্রধান পীযুষ মুখোপাধ্যায় জানান, " আমাদের অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ হচ্ছে। বিষয়টি আমরা পুলিস ও বন দফতরকে জানিয়েছি।"
আরও পড়ুন- 'অমান্য করুন', দল সেন্সর করার পর দিলীপকে বার্তা কুণালের