নিজস্ব প্রতিবেদন : সিঙ্গুরের পর এবার শিলিগুড়ি। কৃষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লং মার্চ। সিপিএমের কৃষকসভা ও ক্ষেতমজুর সংগঠনের ডাকে উত্তরকন্যা অভিযানে সামিল হলেন কৃষক সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। কৃষিতেই ভরসা, কৃষকের সুদিনের দাবি নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখা, আর সেই স্বপ্নে ভর করেই ফের রাস্তায় নামল সিপিএম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিপিএমের কৃষকসভা ও ক্ষেতমজুর সংগঠনের ডাকে এদিন উত্তরকন্যা অভিযানে সামিল কৃষক সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। এর আগে সিঙ্গুর থেকে রাজভবন পর্যন্ত লং মার্চ হয়। তারপর শিলিগুড়ি। এদিকে এদিনই শিলিগুড়ি বাঘাযতীন পার্কে তৃণমূলের মহিলা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি রাজ্যে কৃষকদের আয় বেড়েছে। আর মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, বিজেপির সঙ্গে মিশে না গিয়ে সিপিএম আন্দোলন করছে এটা ভাল। তবে তাঁর দাবি, কৃষকরা আর লালঝান্ডার সঙ্গে নেই।



অন্যদিকে, এই লং মার্চে অংশগ্রহণকারীদের জন্য শিলিগুড়ির ৪৭টি ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি ঘুরে খাবার সংগ্রহ করা হয়। সংগ্রহ করা হয় ১ লাখ রুটি। কিন্তু কেন? সিপিএম দলের আয় তো কম নয়! হিসেব অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে সিপিএমের আয় ছিল ১০০ কোটি টাকার বেশি। তবে রুটি ভিক্ষা কেন? সিপিএম বলছে, পুরনো পথেই নিবিঢ় জনসংযোগ। পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। আর এ কথা যে কথার কথা নয়, তা ভালই বুঝেছে সিপিএম। তাই জনসংযোগে সেই পুরনো পদ্ধতিকেই পাথেয় করে লং মার্চে নামল সিপিএম।


তখন ছিল অন্য সময়। বড় অর্থাভাব ছিল। ওদিকে গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার কথা বলেছন মাও। এদিকে কৃষকদের নিয়ে নতুন অধ্যায়ের ভাবনায় পথে নেমেছেন কমিউনিস্ট ভাবধারার যুবকরা। গাঁয়ে ঘরে কখন কোথায় রাত্রিবাস, কে জানে! থাকা খাওয়া হয়তো প্রত্যন্ত কোনও গ্রামে দরিদ্রের কুটিরে।


ছবিতে দেখুন, ক্ষেতমজুর সংগঠনের উত্তরকন্যা অভিযান, বাড়ি বাড়ি ঘুরে ১ লাখ রুটি সংগ্রহ


ষাট-সত্তরের দশকে কমিউনিস্টরা তখন বাড়ি বাড়ি ঘুরে সেখান থেকে খাবার সংগ্রহ করতেন। সে সময় পেরিয়েছে বহুকাল। বাংলায় দল সরকার গড়েছে। ৩৪ বছরের শাসনকালের পর সেই সরকারের পতনও হয়েছে। হারানো জমি আঁকড়ে ধরতে এখন আবার যেন সেই শিকড়ের সন্ধানেই বামেরা!