দীব্যেন্দু সরকার ও শ্রীকান্ত ঠাকুর: আল কায়েদা জঙ্গি সন্দেহে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ধৃত আবদুর রকিব সরকার ও কাজি এহসান মোল্লা। দু'জনের বাড়ির লোকজন বিশ্বাসই করতে পারছেন না তাদের বাড়ির ছেলে এমন মারাত্মক কাজকর্ম জড়িত থাকতে পারে। আবদুর রকিব সরকারের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। অন্যদিকে, কাজি এহসান মোল্লা ওরফে হাসানের বাড়ি হুগলি জেলার আরামবাগ থানার সামতা কাজিপাড়ায়। বুধবার ওই দুজনকে উত্তর ২৪ পরগনার খড়িবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে এসটিএফ।  পুলিস মারফত গঙ্গারামপুরে আবদুল রকিব সরদারের বাড়িতে খবর আসে। সেই খবর শুনে চমকে ওঠেন রকিবের  বৃদ্ধ বাবা-মা। বালুঘাট থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়ি রকিবের। সেখানে এখনও মোবাইলের টাওয়ারও ঠিকঠাক বসেনি। সেইরকম একটি গ্রাম থেকে একটি ছেলে শহরে গিয়ে আল কায়েদার মতো একটি সংগঠনে যোগ দেবে এমন কথা ভাবতেই পারছেন না গ্রামের লোকজন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-Al Qaeda Terrorist: বড় সাফল্য এসটিএফ-এর, কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ধৃত ২ আল কায়েদা জঙ্গি


সংবাদমাধ্যমে রকিবের খবর ছড়িয়ে পড়তেই তার বাড়িতে ভিড় করেছেন গ্রামের লোকজন। গ্রামবাসীদের অনেকেরই বক্তব্য, একেবারে সাদামাটা ছেলে রকিব, গ্রামের প্রতিটি কাজ হাত লাগাতো। সবার সাহায্যে এগিয়ে আসতো। তার কথা থেকেও কিছু বোঝা যায়নি। সে-ই যে এমন কাণ্ড করতে পারে ভাবতেই পারছেন না।


অন্যদিকে, কাজি এহসান মোল্লা ওরফে হাসানের গ্রামেও একই চিত্র। গ্রামের কেউই বিশ্বাস করতে পারছেন না হাসান এমন কাজ করতে পারে। সামতা কাজি পাড়ায় এহসানের বাড়ি একেবারে গ্রামের শেষপ্রান্তে। বাড়িতে থাকেন একমাত্র বৃদ্ধা মা। তিন ভাই ও এক বোন কেউই থাকেন না মায়ের সঙ্গে। হাসানের বাবা কর্মসূত্রে থাকেন বর্ধমানে। ছেলের কথা জিজ্ঞাসা করতেই জল এসে গেল হাসানের মা ফরিদা বিবির। তিনি জানালেন, বিয়ের পর থেকেই হাসান কলকাতাতেই থাকতো। বাড়িতে খুব একটা আসতো না। কিছুদিন টিউশন পড়াতো। এখন পুরনো গাড়ির ব্যবসা করে বলে শুনেছি। যোগাযোগ সেই ভাবে নেই। মাঝে মধ্যে আসতো গ্রামে। এবারেও পরবে বাড়ি এসেছিল। তার পর আর আসেনি। ছেলে যদি এমন কাজ করে থাকে তাহলে আমরা আর কী করতে পারি! আইন অনুয়ায়ী তার শাস্তি হবে।



স্থানীয়রা জানান, মাঝে মধ্যে গ্রামে আসতো হাসান। কারও সঙ্গে সেভাবে মেলামেশা করতো না। বাজারে অল্প ঘোরাঘুরি করে বাড়ি চলে যেত। যদি কোনো ভাবে নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে উপযুক্ত শাস্তি যেন হয়। এলাকার প্রধান সেখ সোহরাব হোসেন বলেন, এলাকার অনেকেই গ্রামের বাইরে থাকে। কে কী করে তা জানা সম্ভব নয়। আইন আইনের পথেই চলবে। দোষী হলে শাস্তি হোক আমরা সবাই চাই।


 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)