নিজস্ব প্রতিবেদন : চৈত্রের ঝরা পাতা উড়িয়ে নিয়ে যাক, আসুক বৈশাখ। গ্রীষ্মের দহন, বেল-জুঁইয়ের মিষ্টি গন্ধ নিয়ে আসুক বৈশাখ। যুগ যুগ ধরে কালবৈশাখী এই বার্তা-ই বয়ে নিয়ে আসছে। ক্যালেন্ডারের পাতায় এবারও বৈশাখ এসে গিয়েছে। কিন্তু মানুষের মনে নতুন বছর সত্যিই কি এসেছে? আসলে এবছরটা সব হিসেব উলটপালট হয়ে গিয়েছে। হিসেব উলটপালট করে দিয়েছে করোনা নামে এক বিভীষিকা। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টেছে, নতুন বছর শুরু হয়েছে, কিন্তু করোনার ভয় কাটিয়ে ' নতুন ভোর' এখনও আসেনি। যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে একদিন ঠিক জিত হবেই। 'নতুন ভোর' আসবেই। এই বিশ্বাসে ভর করেই অদৃশ্য এক শত্রুর সঙ্গে লড়ছে মানুষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনার জেরে ঘরবন্দি মানুষ। ৩ মে পর্যন্ত জারি লকডাউন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মে-তে আরও বাড়তে পারে বিপদ? তবে কি লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়বে? এরকম একাধিক প্রশ্ন, শঙ্কা উঁকি দিচ্ছে সবার মনে। এমন সময়ই খানিকটা স্বস্তি বয়ে আনল কালবৈশাখি। সারাদিন গরম, দহনের পর খানিকটা স্বস্তি। সোমবার সন্ধ্যা গড়িয়ে যখন রাত নামছে, তখনই হানা দিল কালবৈশাখী। ঝড় সঙ্গে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। যার অন্যথা হল না মঙ্গলবার সকালেও। 


মঙ্গলবার ভোরে শহর, জেলা তখনও ঘুমাচ্ছে। এদিকে ভোর থেকেই আকাশের মুখ ভার। কালো থেকে আরও কালো হয়ে উঠল আকাশ। তারপরই শুরু হল ঝড়। ঝড়ের বেগ একটু ধরতেই নামল বৃষ্টি। বজ্র, বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি চলল বেশ কিছুক্ষণ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, মঙ্গলবার বিকাল-সন্ধ্যাতেও হতে পারে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি। মঙ্গল থেকে শুক্রবার, এই ৪ দিন কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।


হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, এই সময়টা একদিকে গরম ও কালবৈশাখীর। অন্যদিকে, পূর্ব উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের উপর একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। যা বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পকে টেনে আনছে। দুয়ে মিলে ঝড়-বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এরফলে ২১ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঝড়, বজ্র-বিদ্যুৎ সহ মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টি না হলেও ঝোড়ো হাওয়া বইবে। কোথাও কোথাও আবার ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০কিমি থেকে ৫০কিমি পর্যন্ত হতে পারে। 


আরও পড়ুন, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ যেন করোনার 'হটস্পট'! আক্রান্ত একের পর এক চিকিৎসক-রোগী