কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক সভায় জেলার শান্তি-শৃঙ্খলা ব্যহত হওয়ার পিছনে বহিরাগত তত্ত্বেই শিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার শিলিগুড়ির প্রশাসনিক ভবন 'উত্তর কন্যা'-য় এব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এব্যাপারে আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিশেষভাবে সতর্ক করেন তিনি। 


এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে আলিপুরদুয়ার সব থেকে স্পর্শকাতর। এই জেলায় অসমিয়া, বাংলাদেশি, ভুটানি বা নেপালি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা খুব বেশি। মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, বাইরে থেকে লোক ঢুকে অশান্তি বাঁধাতে পারে এখানে। যে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রোধে প্রশাসনকে এদিন একগুচ্ছ পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 


১. গোটা জেলায় প্রশাসনকে কড়া নজরদারি চালাতে হবে।
২. খুঁটিনাটি খবর জোগাড় করতে হবে পুলিসের গোয়েন্দাদের।
৩. খবর জোগাড় করতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে পুলিসকে। 
৪. কে কোথা থেকে আসছে তার উদ্দেশ্যই বা কী, সব তথ্য রাখতে হবে পুলিসের কাছে।
৫. বিভিন্ন লোকজন আলিপুরদুয়ারে স্কুল খুলতে আসছে। নজর রাখতে হবে তাদের গতিবিধির ওপরেও। 
৬. বিদেশিরা জেলায় ঢুকলে তাদের ওপরেও চালাতে হবে নজরদারি। 


এদিন মুখ্যমন্ত্রী জমি মাফিয়াদেরও তোলাবাজি নিয়ে সতর্ক করেন। বলেন, রাজ্য সরকারের কাছে জমি মাফিয়াদের নিয়ে লাগাতার রিপোর্ট পৌঁছাচ্ছে। দলের তোলাবাজির টাকার দরকার নেই। ফলে জমির জন্য কেউ তোলাবাজি করলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 


মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, জমি মাফিয়াচক্রের সঙ্গে পুলিস ও ভূমিরাজস্ব দফতরের এক স্তরের কর্মীরা যুক্ত বলে খবর আছে। এই সমস্ত সরকারি কর্মীদের চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাহলেও থামবে জমি নিয়ে যাবতীয় দুর্নীতি। 


‘তোলাবাজি’র প্রতিবাদ, হাতের শিরা কেটে বিক্ষোভ-রণক্ষেত্র দীনবন্ধু কলেজ


৩০ জুন অসমে প্রকাশিত হবে ন্যাশনাল সিটিজেনশিপ রেজিস্টারের রিপোর্ট। অসমে বসবাসকারী বিদেশিদের চিহ্নিত করতে সেরাজ্যের সরকারকে এই রিপোর্ট তৈরি করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই রিপোর্ট প্রকাশের পর অসম থেকে পশ্চিমবঙ্গের অনুপ্রবেশের হার বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এব্যাপারে প্রশাসনকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী শিলিগুড়িতে মহানন্দার চর দখল করে কারা রয়েছেন, তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।