নিজস্ব প্রতিবেদন : আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে কেরলের এরনাকুলাম থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করার পর যে তথ্য সামনে আসছে, তাতে দেখা যাচ্ছে কেরলের সঙ্গে এরাজ্যের মুর্শিদাবাদ যোগ অনেকটাই প্রবল। তদন্তকারী অফিসারা এমনটাই জানাচ্ছেন। কীরকম? কী জানা যাচ্ছে তদন্তে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুর্শিদাবাদের ডোমকল মহকুমার কয়েক হাজার পরিযায়ী শ্রমিক বর্তমানে কেরলে কর্মরত রয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে বেশি অর্থ রোজগারের হাতছানি-ই তাঁদেরকে কেরলে নিয়ে গিয়েছে। লকডাউনের পর যাঁরা বাড়ি ফিরেছিলেন, তাঁদের মধ্যেই অনেকেই আবার চলে গিয়েছেন কেরলে। এখনও যাঁরা মুর্শিদাবাদে রয়ে গিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাঁরাও ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন। তবে আচমকা একের পর এক জঙ্গি গ্রেফতারের ঘটনায় তাঁরা অবশ্য একটু দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েছেন। 


সমীক্ষা বলছে, বছর পাঁচেক আগেও যে ডোমকল অনুন্নত ছিল, এখন সেখানে সবই প্রায় পাকা বাড়ি। গ্রামবাসীরা বলছেন, সবই বাইরের দেশের টাকায় তৈরি। আতঙ্ক-দুশ্চিন্তা তো রয়েছেই। কোথাও যেন ভয় কাজ করছে মনে।  মুর্শিদাবাদের ভূমিপুত্র ৯ জঙ্গি গ্রেফতারের ঘটনায় জাঁকিয়ে বসেছে আতঙ্ক। কিন্তু, তাও বিপদ উপেক্ষা করে বাড়ির ছেলেকে কেরলে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রবণতা এখনও রয়েছে ডোমকলের মানুজনের মধ্যে। 


তদন্তকারী অফিসারদের একাংশের কথায়, ধৃত জঙ্গির সংখ্যা হিমশৈলের চূড়ামাত্র হতে পারে। কেঁচো খুঁড়তে আরও অনেক কেউটে বেরিয়ে আসতে পারে। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই জঙ্গি নেটওয়ার্কের নিত্য নতুন তথ্য সামনে আসছে। নতুন নতুন নামও উঠে আসছে। তাদের খোঁজ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। সবমিলিয়ে একদিকে ভিন রাজ্যে গিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা উপার্জনের হাতছানি, অন্যদিকে ভয়ের বাতাবরণ- এই মুহূর্তে প্রতিটি গ্রামে বিরাজ করছে এক অদ্ভূত নিস্তব্ধতা।


আরও পড়ুন, 'কিতল ফর ইসলাম', দ্বিতীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ফাঁস জঙ্গি নেটওয়ার্কের আরও সদস্য ও জেলার নাম!