নিজস্ব প্রতিবেদন: মাত্র এক মিনিট সময়ের ব্যবধান। গোটা খেলাটাই যেন ঘুরে গেল। বনধ সমর্থনে নেমে মারের মুখে পড়েছিলেন সিপিএম সমর্থকরা। এক বৃদ্ধকে বাঁশ পেটা করছিল একাধিক যুবক। লাগাতার    আক্রমণের মুখ থেকে কোনও মতে নিজেকে বাঁচিয়ে নিয়ে বৃদ্ধ ঢুকে গেলেন লাল ঝান্ডার মিছিলে। তারপরই পাল্টা প্রতিরোধের ছবি দেখাল আলিপুরদুয়ার। লাল পতকাওয়ালা  ঝান্ডা দিয়েই পাল্টা আক্রমণে গেল সিপিএম। শুধুই আক্রমণ বললে কম বলা হবে। বনধের বিরোধিতা করতে যারা বামেদের মিছিলে লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করল, তাদের এলাকা ছাড়া করল সিপিএম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


জানা গিয়েছে এই ঘটনা ঘটেছে আলিপুরদুয়ারে। সিপিএম বাঁকুড়া নামের একটি ফেসবুক পেজে সেই ঘটনার ভিডিয়োও রয়েছে। যা নিজের ফেসবুক দেওয়ালে শেয়ার করেছেন সিপিএম নেতা জামির মোল্লা। তিনি জানিয়েছেন, “বনধের সমর্থনে আমাদের কর্মী সমর্থকরা মিছিল করছিল। সেখানেই আক্রমণ করে তৃণমূল। আমাদের কর্মীরা সেই আক্রমণ প্রতিহত করে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে।” তিনি জি ২৪ ঘণ্টা ডট কমকে জানিয়েছেন, “ শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আছে নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে ধর্মঘট করার। এটা ভারতের প্রতিটি শ্রমিকেরই অধিকার। এই বনধ বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন জায়গা. মানুষ এই বনধকে সমর্থন করেছে। তৃণমূল বনধের বিরোধিতা করে সরকারকে বিজেপি সাহায্য করছে। মানুষ বনধ সমর্থন করছে। যারা বাধা দিতে এসেছে আমরা তাদের আক্রমণ প্রতিহত করেছি। মানুষও প্রতিরোধ গড়ছে। আর আমাদেরও সেই অধিকার আছে।”


আরও পড়ুন- ক্ষমতায় এলে পুলিস অফিসারকে কান ধরে ওঠবস করাবেন শতরূপ ঘোষ!


প্রসঙ্গত, বনধের সমর্থনে মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাস্তায় নেমেছে বাম শ্রমিক সংগঠনগুলো। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছে ছাত্র যুবরাও। এদিন সকালে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, অনাদি সাহু রাজ্যের আরও শতাধিক সিপিএম নেতা কর্মী। বনধ রুখতে গিয়ে আবার মাথা ফেটেছে কোন্নগরের তৃণমূল নেতার। সল্টলেকে বনধের বিরোধিতায় আবার গোলাপ বিলি করেছে তৃণমূল। সব মিলিয়ে বনধের আবাহওয়ায় শোরগোলের ছবি  গোটা রাজ্যেই।