৩১ মার্চের পরিবর্তে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: মমতা
মুখ্যমন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। এর একমাত্র ওষুধ প্রিভেনশন। রোগী ফিরিয়ে না দেওয়ার অনুরোধ করেন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। সোমবার, নবান্নের বৈঠক সেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হচ্ছে। আইসিডিএস কেন্দ্রগুলিও বন্ধ থাকবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে চাল-ডাল। স্কুল-কলেজের হোস্টেলগুলিকে বন্ধ রাখা হচ্ছে। প্রশাসনিক কাজকর্ম কীভাবে হবে, তা কর্তৃপক্ষের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজের পরীক্ষা চালু থাকবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। এর একমাত্র ওষুধ প্রিভেনশন। রোগী ফিরিয়ে না দেওয়ার অনুরোধ করেন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। জমায়েত হয় এমন কোনও অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। সিনেমা হল, অডেটোরিয়াম বন্ধ রাখারও অনুরোধ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- ২০ মার্চই ফাঁসি! মুকেশের ফাঁসির রায় সংশোধনের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
নোভেল করোনাভাইরাস সতর্কতায় ৩ লক্ষ ২৪ হাজার মানুষের স্ক্রিনিং করা হয়েছে। সংস্পর্শে আসা ৫ হাজার জনকে চিহ্নিত করে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ২০০ কোটি টাকার ফান্ড তৈরি করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২ লক্ষ পিপিই (বিশেষ পোশাক) এবং ২ লক্ষ এম-৯৫ মাস্ক অর্ডার করা হয়েছে। এছাড়াও অর্ডার দেওয়া হয়েছে ১০ হাজার থার্মাল গান এবং ৩০০ ভেন্টিলেশন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেন, রোগ লুকাবেন না। করোনা পজেটিভ হলে নির্দ্বিধায় হাসপাতালে এসে চিকিত্সা নিন। করোনা চিকিত্সার সঙ্গে জড়িত চিকিত্সক, নার্স এবং অন্যান্য কর্মীদের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা দেওয়া হবে। সেনা, পুলিসও এই প্রকল্পের আওতায় পড়বে। ১০ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান।