নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলি ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার বিষয়ে সহমত পোষণ করল উপাচার্য পরিষদ। আজ উপাচার্য পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। একদিকে করোনার সংক্রমণের ভয়, অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে জেরে বিপর্যয়। এই দুয়ের কারণেই ৩০ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের পঠনপাঠন বন্ধ রাখার বিষয়ে এবার সহমত পোষণ করল উপাচার্য পরিষদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত এর আগে ১০ জুন পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কথা ঘোষণা করেছিল সরকার। এরপর বুধবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল বন্ধ রাখার সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। তবে সেদিন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তিনি কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সিদ্ধান্তগ্রহণের ভার তাঁদের কাঁধেই দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।


এরপরই এদিন বৈঠকে বসে উপাচার্য পরিষদ। সেখানেই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও বন্ধ রাখার সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ জুন করার বিষয়ে সহমত পোষণ করে উপাচার্য পরিষদ। যদিও এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি-ই নেবে। তবে একথা বলা যায় যে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ হওয়ার পথ প্রশস্ত হল।


উল্লেখ্য, এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গোটা জুন মাস সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বলেন। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী আজ বলেন, "এখন কলেজে উপস্থিতি দেখলে হবে না। ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষিত রাখতে হবে। মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। ক্লাসের সামনে স্যানিটাইজারের মেশিন রাখতে হবে।"


আরও পড়ুন, ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাজ্যের সব সরকারি স্কুল, তবে উচ্চমাধ্যমিক নির্দিষ্ট দিনেই