ওয়েব ডেস্ক: অভিযুক্ত প্রভাবশালী। ছাত্র পরিষদের সভাপতি। অভিযোগ, একারণেই কলেজ ছাত্রীকে হুমকি, মারধর, শ্লীলতাহানির পরও রেহাই দিচ্ছে পুলিসই! তিন মাস আগে অভিযোগ দায়ের হলেও, ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি আজ পর্যন্ত। এঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য মালদার ইংরেজবাজারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রীতিমতো বাড়ি ঢুকে হামলা-আগুন। পুলিসে দায়ের করা অভিযোগ তুলে নিতে চাপ। অভিযোগের আঙুল, গৌড় কলেজের ছাত্র পরিষদ সভাপতি বাবলু শেখ ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীও গৌড় কলেজেরই থার্ড ইয়ারের ছাত্রী।


ঝামেলা শুরু হয় প্রায় চার মাস আগে। অভিযোগকারী ছাত্রী প্রথমে ছাত্র পরিষদ করতেন, সেই সূত্রেই পরিচয় হয় সভাপতি বাবলু শেখের সঙ্গে। ছাত্র পরিষদ ছেড়ে পরে ওই ছাত্রী টিএমসিপিতে যোগ দেন। অভিযোগ, তারপর থেকেই নানাভাবে তাঁকে হেনস্থা, কুপ্রস্তাব দিত বাবলু শেখ। প্রতিবাদ করায় তাঁর ওপর অ্যাসিড হামলা, এমনকি খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।


১০ মার্চ ইংরেজবাজার থানায় এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রী। মার্চ থেকে জুন, এতদিনেও পুলিস অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ছাত্রীর দাবি, থানা থেকে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য ইদানিং তাঁর ওপর চাপ আসা শুরু হয়। রাজি না হওয়াতেই এবার বাড়িতে চড়াও হয়ে এই হামলা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় সিঁড়িঘরে। তাঁরা বেরিয়ে আসতেই মারধর শুরু করে বাবলু শেখের দলবল।


মারধরে আহত ছাত্রীকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ  হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফের অভিযোগ করা হয়েছে থানায়। অভিযুক্তের দাদাগিরির জন্য অবশ্য পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার দিকেই আঙুল তুলেছেন আক্রান্ত ছাত্রী। অভিযুক্তের পাল্টা দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। সবটাই ওই ছাত্রীর বানিয়ে বলা গল্প।


ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বে। তবে অভিযোগ দায়ের হলেও মাসের পর মাস কেন কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি থানা, এ প্রশ্নে অস্বস্তিতে পুলিস- প্রশাসন। (আরও পড়ুন- বিকল ডায়ালিসিস ইউনিট, হাসপাতালে পড়ে থেকে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তুলকালাম মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে)