মনুয়াকাণ্ডের ছায়া উলুবেড়িয়ায়, প্রেমিকের সঙ্গে ছক কষে স্বামীকে খুনের চেষ্টা
বারাসতের মনুয়াকাণ্ডের ছায়া উলুবেড়িয়ায়। প্রেমিকের সঙ্গে ছক কষে স্বামীকে খুনের চেষ্টা। গুলিবিদ্ধ হলেও, এক্ষেত্রে অল্পের জন্য বাঁচল স্বামীর প্রাণ। ঘটনার ৪ দিন পর গ্রেফতার অভিযুক্ত স্ত্রী ও তার প্রেমিক। প্রেমিককে দিয়ে স্বামীকে খুন। বারাসতের মনুয়া এখনও হেডলাইন। প্রায় একই কাণ্ড উলুবেড়িয়ায়। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন স্বামী।
ওয়েব ডেস্ক: বারাসতের মনুয়াকাণ্ডের ছায়া উলুবেড়িয়ায়। প্রেমিকের সঙ্গে ছক কষে স্বামীকে খুনের চেষ্টা। গুলিবিদ্ধ হলেও, এক্ষেত্রে অল্পের জন্য বাঁচল স্বামীর প্রাণ। ঘটনার ৪ দিন পর গ্রেফতার অভিযুক্ত স্ত্রী ও তার প্রেমিক। প্রেমিককে দিয়ে স্বামীকে খুন। বারাসতের মনুয়া এখনও হেডলাইন। প্রায় একই কাণ্ড উলুবেড়িয়ায়। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন স্বামী।
স্বামী গৌর বেবত্তকে ফোন করে ডেকে প্রেমিককে দিয়ে খুন করানোর চেষ্টায় ছিল স্ত্রী দেবশ্রী। গত ২৩মে, জয়পুর থানার সাপগাছা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন গৌর। বছর পাঁচেক আগে বিয়ে হয়েছিল গৌর এবং দেবশ্রীর। গৌরের বন্ধু রাজু প্রামাণিকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠায়, তাঁর সঙ্গে বাড়ি ছাড়ে দেবশ্রী। আত্মীয়দের বক্তব্য, ফিরে আসার জন্য দেবশ্রীকে বহুবার বোঝায় স্বামী গৌর। যদিও তাঁর চেষ্টা কোনও কাজে আসেনি। কিন্তু তেইশে মে দেবশ্রীর একটি ফোনে হঠাত্ আশার আলো দেখতে পান গৌর।
ফোন করে স্বামীর কাছে বাড়ি ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করে দেবশ্রী। গৌরকে সাপগাছতলায় আসতে বলে সে। গৌর স্ত্রীকে আনতেও যান, কিন্তু সেখানে তার দেখা পাননি। উল্টে রাজু ও তার ২ বন্ধু সেখানে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গৌরকে গুলি করে।
খুনের চেষ্টার গোটা প্ল্যানিং ছিল স্ত্রী দেবশ্রীর, তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিস।
পায়ে গুলি লাগা অবস্থায় উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গৌরকে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিসের সঙ্গে লুকোচুরির পর, অবশেষে জালে ধরা পড়েছে অভিযুক্তরা।
সাঁকরাইলের সারেঙ্গা থেকে দেবশ্রী ও রাজুকে গ্রেফতার করে পুলিস। রাজুকে জেরায় বেরিয়ে আসে তার সঙ্গী মহম্মদ আদিলের নাম। হাওড়ার বাঁকসারা থেকে গ্রেফতার করা হয় আদিলকে।
দেবশ্রীর ১৪ দিনের জেল হেফাজত এবং অভিযুক্ত প্রেমিক রাজু প্রামাণিকের ৫ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রেমিকের সঙ্গীকেও পাঁচ দিনের পুলিস হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।