নিজস্ব প্রতিবেদন: অন্তঃসত্ত্বার ব্লাড গ্রুপ o+ , কিন্তু তাঁকে দেওয়া হল A+। যার জেরে মৃত্যু হল অন্তঃসত্ত্বার গর্ভস্থ আট মাসের সন্তান। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রোগীর আত্মীয়রা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রোগীর পরিবারের সদস্যরা মৃত শিশুর দেহ নিয়ে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কয়েকজন হাসপাতাল কর্মীর সঙ্গে তাঁদের ধাক্কাধাক্কিও হয়। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা। হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



বুধবার নদিয়ার চাপড়া ব্লকের এলেমনগর গ্রামের বাসিন্দা জেসমিন মল্লিক) জ্বর নিয়ে ভর্তি হন কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে। তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করে দেখে নার্সদের রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন।


জেসমিনের রক্তের গ্রুপ ‘ও’ পজেটিভ। কিন্তু অভিযোগ, নার্সরা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে ‘এ’ পজেটিভ  রক্ত নিয়ে তাঁর শরীরে প্রয়োগ করেন। কিছুক্ষণ পর রক্তের খালি প্যাকেটের ওপর লেখা দেখে সন্দেহ হয়  গৃহবধূর স্বামীর। তিনিই তখন নার্সদের বিষয়টি জানান। অভিযোগ, নার্সরা কিছু না বলেই রক্তের খালি প্যাকেটটি নিয়ে চলে যান।


কেজি-র ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্থা স্কুলেরই তিন ‘দিদি’র!


এরপর জেসমিনের শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। তাঁর জ্বরও বাড়তে থাকে। রাতেই তাঁকে সদর হাসপাতালের চাইল্ড কেয়ার হাবে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তাঁকে অস্ত্রোপচার করে গর্ভের মৃত সন্তানটি বার করা হয়। এরপর ফের তাঁকে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।


ঘটনার কথা জানা মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ জানান তাঁরা। চিকিত্সার গাফিলতির জন্য অন্তঃসত্ত্বার গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা। যদিও এপ্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত হাসপাতালের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।