নিজস্ব প্রতিবেদন: অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) জোর করে বিশ্বভারতীর (visva bharati) জায়গা দখল করে রয়েছেন। আজ শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে আবারও বিস্ফোরক দাবি করল বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ। বেশ কিছুদিন ধরেই একাধিক কারণে আলোচনায় উঠে এসেছে বিশ্বভারতীর নাম। তৈরি হয়েছে একাধিক জল্পনাও। অমর্ত্য সেনকে নিয়েও চলছিল বিস্তর জলঘোলা। এবার ফের অমর্ত্য সেনের থাকার জমির অংশ ভূমি দফতরকে দিয়ে মাপ-যোগ করতে চায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সাংবাদিক বৈঠকে এমনই ইঙ্গিত কর্তৃপক্ষের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: দলে অন্তর্ভুক্তিতে রাশ টানল বিজেপি, ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখার নির্দেশ


আজ সেন্ট্রাল অফিসে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেখানেই রেজিষ্টার অশোক মাহাতো বলেন, 'বিশ্বভারতীর কাছে যে তালিকা রয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর জায়গা দখল করে আছেন। প্রয়োজনে রাজ্য ভূমি সংস্কারের তরফে নিয়ম মেনে বিশ্বভারতীর প্রতিনিধি, অমর্ত্য সেনের প্রতিনিধি সকলকে নিয়ে মাপ-জোখ করা হোক, তাহলেই আসল সত্য বেড়িয়ে আসবে'৷ উল্লেখ্য, আজ সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন বিশ্বভারতীর রেজিস্টার অশোক মাহাতো, জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার ও পাঠভবনের অধ্যক্ষ।  


ডিসেম্বরেই অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) বাড়ির জমি একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের একথা বলে অভিযোগ করে বিশ্বভারতীর একটা মহল। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে অভিযোগপত্রও এসেছে। এ নিয়ে নোবেলজয়ীর পাশে দাঁড়িয়ে চিঠি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অমর্ত্যও। প্রতীচী বিতর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া, 'বিশ্বভারতীর উপাচার্যের আচরণে স্তম্ভিত হয়েছি। সংবাদমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। অথচ জমি ফেরত চেয়ে কখনও চিঠি দেননি। উপাচার্যের বোধবুদ্ধি নিয়ে আমি ঠিক নিশ্চিত নই।' 


এ বিষয়ে নিয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন,'অমর্ত্য সেনকে নিয়ে গর্ব করেন বাংলার মানুষ। আপনারা বিশ্বাস করেন, অমর্ত্য সেন শান্তিনিকেতনের জমি দখল করবেন! ওঁর পরিবার ৭০-৮০ বছর রয়েছে সেখানে। যাঁরা বলছেন, তাঁরা বাংলাকে কতটা চেনেন? অমর্ত্য সেন আদর্শগতভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে বলে তাঁর নামে বাড়ি দখল, হকার বসানোর অভিযোগ করছে। এটা বাংলার মানুষ সহ্য করবে না। অমর্ত্য সেনের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি।'