Amartya Sen: `বাবার নামে থাকা জমি উত্তরাধিকার সূত্রে আমারই প্রাপ্য`
জমি বিতর্কে এবার বিদেশ থেকে বিশ্বভারতীকে চিঠি দিলেন অর্মত্য সেন। চিঠি লিখলেন, `জুনে শান্তিনিকেতনে ফিরব। তখন আলোচনা হতে পারে`।
প্রসেনজিৎ মালাকার: 'বাবার নামে থাকা জমি উত্তরাধিকার সূত্রে আমারই প্রাপ্য। এ নিয়ে বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই'। জমি বিতর্কে এবার বিদেশ থেকে বিশ্বভারতীকে চিঠি দিলেন অর্মত্য সেন। চিঠিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ আরও লিখেছেন, 'জুনে শান্তিনিকেতনে ফিরলে আলোচনা হতে পারে'।
ঘটনার সূত্রপাত এবছরের জানুয়ারিতে। অর্মত্য সেন তখন শান্তিনিকেতনেই ছিলেন। গত ২৪ জানুয়ারি তাঁর বাড়ি 'প্রতীচী'র ঠিকানায় চিঠি পাঠায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে উল্লেখ, 'বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল রেখেছেন অমর্ত্য। সেই জমি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তরের অনুরোধ করা হচ্ছে'। এরপর চিঠি পাঠানো হয় আরও দু'বার। তা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি।
শান্তিনিকেতনের বাড়িতে গিয়ে অর্মত্য সেনের হাতে জমির মাপজোক সংক্রান্ত নথি তুলে দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে Z+ ক্যাটেগরির নিরাপত্তার ঘোষণাও। তাহলে? জমি বিতর্কে এখনও অনড় বিশ্বভারতী। শুনানিতে হাজিরা না থাকায় কার্যত উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়িতে! সমন জারি করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। নিন্দার ঝড় সর্বত্র।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: 'ভদ্রতা জানে না'! তৃণমূল বিধায়কের হুমকি মুখে ভূমি সংস্কারের দফতরের আধিকারিক
চুপ করে থাকলেন অর্মত্য সেনও। জমি দখল হয়ে যেতে পারে, সেই আশঙ্কায় বিশ্বভারতীর জয়েন্ট রেজিস্ট্রার ও অ্যাসিস্ট অফিসারকে চিঠি দিলেন তিনি। চিঠিতে উল্লেখ, 'শান্তিনিকেতনের প্রতীচী বাড়ি ১৯৪৩ সাল থেকে আমার পরিবারে দখলে। আমি নিয়মিত বাড়িটি ব্যবহার করে আসছি। আমার বাবা আশুতোষ সেন ও মা অমিত সেনের মৃত্যুর পরেও দীর্ঘ ৮০ বছর জমিটির চরিত্রের কোনও বদল হয়নি। লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে এই জমির বিপরীতে কোনও দাবি দাঁড়াতে পারে না। আমি জুনে শান্তিনিকেতনে যাব। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মানতে না রাজি হন, তাহলে তখন আলোচনা হতে পারে'।