নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হাওড়া শহর। হার্ট অ্যাটাক হওয়া রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গিয়ে জলমগ্ন রাস্তায় আটকের গেল অ্যাম্বুল্যান্স। হাওড়ার ড্রেনেজ ক্যানেল রোডে এসে জলের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেল গাড়ির স্টার্ট। প্রায় হাঁটু সমান জলে অ্যাম্বুল্যান্স ঠেলে রোগীকে নার্সিংহোমে পৌঁছে দিলেন চালক রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-উপত্যকার Samba Sector-এ ৩টি সন্দেহজনক Drone-এর ঘোরাফেরা, বড়সড় নাশকতার ছক! 


কোনা থেকে অশোক ঘোরুই নামে এক রোগী ও তার আত্মীয়দের নিয়ে আসেন রঞ্জিত। আজ সকালে হঠাৎই স্ট্রোক হয় অশোক বাবুর। এনিয়ে দ্বিতীয়বার। তাই পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। স্থানীয় চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। বাড়ির লোকেরা খোঁজাখুঁজির পর কোনার একটি ক্লাবের অ্যাম্বুল্যান্স খুঁজে পান।


সকাল নটা নাগাদ চালক রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় বাড়ি থেকে অশোক বাবু ও তার  স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে হাওড়ার ড্রেনেজ ক্যানেল রোড সংলগ্ন একটি বেসরকারি নার্সিংহোমর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু যে রাস্তা দিয়ে গেলে তাড়াতাড়ি হত সেই রাস্তায় জল জমে থাকায় অনেকটা ঘুরে ছয় নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে আসেন। কিন্তু ড্রেনেজ ক্যানেল রোডে এসে দেখেন প্রায় হাঁটুর ওপর জল।গাড়ি যাবার মত অবস্থায় নেই।


আরও পড়ুন-ত্রিপুরার মানুষের নামে পুজো, মমতা-অভিষেকের জন্য 'মা ত্রিপুরেশ্বরী'র শরণে Kakoli


এরকম এক পরিস্থিতিতে রোগীকে বাঁচানোর তাগিদে জলমগ্ন রাস্তায় অ্যাম্বুল্যান্স নামিয়ে দেন রঞ্জিত। আর কিছুটা গিয়েই বিপত্তি। বন্ধ হয়ে যায় গাড়ির স্টার্ট। এই অবস্থায় সহযোগিকে স্টিয়ারিংয়ে বসিয়ে জলে নেমে গাড়ি ঠেলতে থাকেন চালক রঞ্জিত। একজন সাইকেল আরোহী কিছুটা সাহায্য করলেও কেউই এগিয়ে আসেনি।


অ্যাম্বুল্যান্স ঠেলতে ঠেলতে হাঁফিয়ে গেলেও থেমে যাননি তিনি। অবশেষে পৌঁছন নার্সিংহোমে। সেখানে গিয়ে সিঁড়িতে বসে পড়েন। জানান, রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছনই তার কাজ। সেটাই করেছেন। প্রশাসনের উচিৎ নিকাশী ব্যবস্থার উন্নতি করা। রোগীর আত্মীয় রুমা ধাড়া বলেন, চালক আজ যেভাবে নিয়ে এলেন তাদের সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)