Amdanga IC Vs MLA: আমডাঙার আইসির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আমডাঙার বিধায়ক। আমডাঙার আইসি অঞ্জন দত্তর মদতেই গাঁজা ও হেরোইনের ব্যবসা চলছে বলে তোপ দেগেছেন বিধায়ক রফিকুর রহমান। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, 'গাঁজা-হেরোইন ব্যবসায় মদত দিচ্ছেন আইসি'। সোমবার আমডাঙার দাঁড়িয়াপুরে হাটমালিকের ছেলেকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। যে ঘটনায় অভিযোগ ওঠে যে, দাঁড়িয়াপুরে মাদকদ্রব্য বিক্রি নিয়েই এই গন্ডগোল। আর তার জেরেই এই ঘটনা। যার প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের আটক না করেই ছেড়ে দেয় পুলিস। এই ঘটনার জেরেই আইসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিধায়ক রফিকুর রহমান। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনি বলেন, 'এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে আমডাঙার আইসি অঞ্জন দত্ত। যে গাঁজা ব্যবসায়ী পিস্তল দিয়ে মেরেছে, তার কাকাকে পুলিস তিন-চারদিন আগে ধরে। সন্ধ্যাবেলায় ধরে, রাত্রিবেলাতেই ছেড়ে দেয়। আইসি অঞ্জন দত্ত গাঁজার ডিলার, গাঁজার স্টকিস্ট। ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা এর কাছ থেকে গাঁজা-হেরোইন কিনে বিক্রি করে। আমি তো অতিরিক্ত পুলিস সুপারকে মেসেজেও করেছিলাম!' বিধায়কের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে চলে। ওখানে কে কখন বাড়ি থেকে বেরবে, কী খাবে, সবটাই তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে চলে। এই বিধায়ক তিনি কী করেন, তাঁর ভাই কী করেন, এই নিয়ে স্থানীয় মানুষের বহু অভিযোগ আছে। পুলিসের একাংশেরও অভিযোগ আছে। 


আরও পড়ুন, Anubrata Mandal: অনুব্রতর জন্য দুয়ারে চিকিত্সক; আমজনতার বাড়ি যাবেন তো সরকারি ডাক্তাররা! সরব অনুপম


এখ সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহের কারণে এই আইসি তাঁর বিভিন্ন কাজকর্মের প্রতিবাদ করেছেন। এমনকি থানাতেও অনেকসময় ঢুকতে দেন না। ফলে এটা ব্যক্তিগত রেষারেষির পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। এই বিধায়কের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ আছে। পরিস্থিতি এখন যেরকম, কিছু কিছু পুলিস এখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। নিজেদের আত্মমর্যাদা বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। ধীরে ধীরে দেখতে থাকুন, কোথায় গিয়ে পৌঁছয়! সাফ কথা শমীক ভট্টাচার্যের।


আরও পড়ুন,  Anubrata Mandal: ফিট নন অনুব্রত, দাবি বোলপুর হাসপাতালের চিকিত্সকদের, আগামিকালই ফের তলব সিবিআইয়ের


অন্যদিকে এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার স্বচ্ছ ও দক্ষ প্রশাসনে বিশ্বাসী। তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দল ও সরকারে কোনও ধরনের কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করেন না। এধরনের অভিযোগ এলে, প্রশাসন তদন্ত করে দেখবে। অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে, প্রশাসন সেই মতো ব্য়বস্থা নেবে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ মাদককাণ্ডে নাম জড়িয়ে পড়া বিজেপি নেত্রী পামেলা ও জলপাইগুড়িতে নারী-শিশু পাচারচক্রের প্রসঙ্গ তুলে পাল্টা আক্রমণও করেন।  


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)