নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পর এবার অমিত শাহ। 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনিকে হাতিয়ার করে  এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন বিজেপি সভাপতি। মঙ্গলবার ঘাটালে ফাঁকা মাঠে অমিত শাহের স্বর ছিল চড়া। মমতাকে তাঁর প্রশ্ন, ভারতের মানুষ 'জয় শ্রী রাম' বলবে না তো কি পাকিস্তানের মানুষ বলবে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন বক্তব্যের শুরুতেই 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ করেন শাহ। বলেন, বাংলায় 'জয় শ্রী রাম' বলায় মমতাদির আপত্তি আছে। ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতীক রাজা রামচন্দ্রের নাম নিতে ভারতের মাটিতে কি কেউ বাধা দিতে পারে? রামের নাম ভারতে নেবে না তো কি পাকিস্তানে নেবে? 


শ্রীরামপুরে ভোট দিয়ে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ যুবক, বনগাঁয় 'আক্রান্ত' বিজেপি কর্মীরা


এর পরই দুহাত তুলে 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি দেন অমিত শাহ। সঙ্গে ধ্বনি তোলে হাজির জনতা। এর পর অমিত শাহ বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে যত মামলা করতে ইচ্ছা করেন করুন। কিন্তু ভারতীয় সংস্কৃতি থেকে আমাকে বিচ্যূত করতে পারবেন না।'


এদিন তাঁকে বহিরাগত হিসাবে চিহ্নিত করারও জবাব দেন অমিত শাহ। বলেন, 'বাংলা ভাষার গরিমার কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা। কিন্তু ক্ষমতায় এসে ইসলামপুরে ইস্কুলে ছাত্রদের দাবি অগ্রাহ্য করে উর্দু শিক্ষক নিয়োগ করেছেন তিনি। প্রতিবাদ করায় ছাত্রদের বুকে গুলি চালিয়েছে তাঁর পুলিস। আপাতত সেই পুলিসকর্মীদের মমতা বাঁচালেও বিজেপি ক্ষমতায় এলেই তাদের শাস্তি হবে।'


 



নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী বলে মানি না বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছিলেন এদিন তারও জবাব দেন অমিত শাহ। বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি সংবিধান মানেন? সেই সংবিধান অনুসারে দেশের মানুষের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানলেন কি না-মানলেন তাতে যায় আসে না।'


এদিন নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন শাহ। বলেন, 'দিল্লি থেকে যে টাকা আসছে তা সিন্ডিকেটে লুঠ করছে। সেই লুঠের টাকার ভাগ গুন্ডারাও পাচ্ছে না। সব টাকা আসছে ভাইপোর কাছে। ভাইপো সেই টাকা বিদেশে পাচার করছে।'