`মমতার উজ্জ্বল বাংলায় ৫ কিমি হেঁটে জল আনেন মা-বোনেরা`, খোঁচা অমিতের
বাংলায় ঘাসফুল ছেঁটে পদ্ম ফোটাবে কে? সেই ব্যক্তির নাম বললেন শাহ
নিজস্ব প্রতিবেদন : টার্গেট ২০১৯। লক্ষ্য বাংলা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উত্খাত করা। পুরুলিয়ার শিমুলিয়ার সভামঞ্চ থেকে সেই মর্মেই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করার ডাক দিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
এদিন সকালে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো সেরে পুরুলিয়ায় পৌঁছন অমিত শাহ। বলরামপুরে সভা করার অনুমতি না মেলায় শিমুলিয়া ফুটবল ময়দানেই আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন তিনি। সেখানেই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বিজেপি সভাপতি বলেন, তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিয়ে তিনি একটাই প্রার্থনা করেছেন। বিজেপিকে শক্তি দেওয়ার জন্য প্রার্থনা জানিয়েছেন তিনি। অমিত শাহ বলেন, "মায়ের কাছে পুজো দিয়ে প্রার্থনা করেছি বিজেপিকে এত শক্তি দিন, যাতে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উত্খাত করতে পারি।"
বক্তৃতার শুরু থেকেই সুর ছিল চড়া। চাঁছাছোলা ভাষায় এদিন আগাগোড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে সমালোচনা করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, সভাস্থলে আসার সময় গাড়ি থেকে দেখতে পান রাস্তার পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় বড় কাট-আউট। সেখানে হিন্দিতেই বাংলার 'উজ্জ্বল' ভবিষ্যতের কথা! কিন্তু, স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও ৫ কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে বাংলার 'মা-বোন'দের জল আনতে হয় বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি সভাপতি।
আরও পড়ুন, 'রবি ঠাকুরের সুর বদলেছে বোমার আওয়াজে', তোপ অমিতের
বিদ্যুত, জল, রাস্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য- সব পরিষেবা নিয়েই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন অমিত শাহ। তোপ দাগেন, পুরুলিয়ার উন্নয়নে ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল অর্থ কমিশন। নরেন্দ্র মোদী সরকারের দেওয়া সেই টাকা কোথায়? শিমুলিয়ার সভামঞ্চ থেকে এদিন মমতার সরকারের উদ্দেশে সেই প্রশ্ন ছুড়ে দেন বিজেপি সভাপতি।
আরও পড়ুন, ২২ নয়! ‘২৩ আসনে জিতবে বিজেপি’, মমতাকে বিঁধে হুঙ্কার অমিতের
শুধু তাই নয়। বাংলায় বিজেপি যে তৃণমূলকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়, এদিন সভার শুরুতেই সেকথা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন অমিত শাহ। সভামঞ্চে উপস্থিত দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহার সঙ্গে উপস্থিত জনতার পরিচয় করানোর পরেই আসে মুকুল রায়ের পালা। আর সেই পরিচয় পর্বেই বিজেপি সভাপতি বুঝিয়ে দেন, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তাঁর লক্ষ্য কী? মুকুল রায়ের পরিচয় দিতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, "একসময় মমতা ব্যানার্জির সঙ্গী ছিলেন। তাঁর সঙ্গে তাঁর পাশে থাকতেন। এখন তিনি বিজেপিতে, বাংলা থেকে মমতার তৃণমূলকে উপড়ে ফেলার জন্য।" দল বদলের 'হাত ধরেই' রাজ্যে ফের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের বার্তা দেন বিজেপি সভাপতি।