নিজস্ব প্রতিবেদন: চার দিনের মাথায়  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেডকে  ক্লিন বোল্ড করতে ময়দানে মোদীর সেনাপতি।  শুরু থেকেই তিনি ছিলেন আক্রমণাত্মক। কোনও ভূমিকা না করেই তিনি চলে যান মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ে, ‘তৃণমূল সরকার হঠাও’-এই ডাক দিয়েই শুরু করেন বক্তৃতা।  ‘ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেব’- লোকসভা নির্বাচনের আগেই বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুমকি দিয়ে গেলেন মোদীর সেনাপতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলার নেত্রীকে আক্রমণ করে শাহর চ্যালেঞ্জ, “তৃণমূল সরকারের গণেশ উল্টাতে এসেছি বাংলায়।” তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের প্রচার করতেই বাংলায় এসেছি আমি। ২০১৯এর নির্বাচন ভারতের থেকেও বাংলার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।” তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “বাংলার মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার নির্বাচন ২০১৯-এর ভোট।  এই নির্বাচন ঠিক করবে তৃণমূল সরকার থাকবে না যাবে। ২০১৯এর নির্বাচন বাংলার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  তৃণমূলের সন্ত্রাস মুক্ত করার নির্বাচন। মমতা দিদির সরকারকে উত্খাত করতে হবে। ২০১৯ এর ভোট দেশের ভবিষ্যত্ নির্ধারণের লড়াই। বাংলার সংস্কৃতিকে নষ্ট করা তৃণমূলকে সরাতে হবে।”


এরপরই তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। সব বুথে নির্বাচন কমিশনের লোক থাকবে। পঞ্চায়েত ভোটের মতো ভোট হবে না।”


NRC ইস্যুতে তিনি বলেন,  “সব হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত।  বাংলাদেশ থেকে যেসব হিন্দু পশ্চিমবঙ্গে আসছে, তাঁদেরও নাগরিকত্ব দেবে ভারত। লোকসভায় 'সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট'এর বিরোধিতা করেছিল তৃণমূল, ওরা এটা চায় না। রাজ্যসভায় দেখি ওরা কী করে!”


‘আয়ুষ্মাণ ভারত’ প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ আয়ুষ্মান ভারত যোজনা  প্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার টাকা দেয় কেন্দ্র। বাংলার মানুষ কেন ৫ লক্ষের সুবিধা পাবেন না?  মোদীর জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়, এই ভয়ে আয়ুষ্মান ভারতের কার্ড ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল।”


রাজ্যে ডিএ প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন, “ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের তুলনায় অর্ধেক। সব টাকা তো নারদা, সারদাতেই চলে গিয়েছে।” এরপর হেয়ালি করে তিনি বলেন, “আমি জানি, এখান থেকে চলে গেলেই আমার বিরুদ্ধে কেস ঠুকে দেবে।  মমতাদি আমাকে একটা নয়, দুটো কেস দিন, এটা আমার আশীর্বাদ। ”


জোটকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “জোট জোট নিয়ে এত চেঁচানো হচ্ছে, ওটা আসলে স্বার্থের জোট।”


শেষে বাংলার মানুষের কাছে তিনি আবেদন করেন, “ বাংলার ২৩ টির বেশি আসন মোদীর ঝুলিতে দিন।”