নিজস্ব প্রতিবেদন: অভাবী ঘরের মেয়ে অমৃতা বর্মন। এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নিজের স্কুলে প্রথম হয়েছে সে। প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৬। কলাবিভাগের ছাত্রী সে। বাবা ফণিভূষণ বর্মন সাধারণ কৃষিজীবী, মা সুধা বর্মন গৃহবধূ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের নজরুল শতবার্ষিকী বিদ্যালয়ের ছাত্রী অমৃতা। তাদের সামান্য কৃষিজমি রয়েছে। সেখানেই কিছু সব্জি চাষ করে কিছু উপার্জন করেন তার বাবা। অমৃতারা দুই বোন। অভাবের সংসারে স্বাভাবিক ভাবেই দুই বোনের টিউশনের টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয় অমৃতার বাবাকে। তার উপর লকডাউনের সময়ে অনেক কষ্টে কেটেছে। কিন্তু সব প্রতিবন্ধকতা দূরে রেখে ভালো ফল করল অমৃতা। স্বাভাবিক ভাবেই খুশি স্কুল ও তার পরিবারের সকলে।


আগামি দিনে শিক্ষিকা হতে চায় অমৃতা। অমৃতার কথায়, 'আমি ভূগোলে অনার্স নিয়ে কলেজে পড়তে চাই। অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়াশোনা করতে হয়েছে। আমার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা আমার পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেক সহযোগিতা করেছেন।'


অমৃতার বাবা ফণীভূষণ বর্মন জানান, নিজের একটি ছোট্ট জমিতে কৃষিকাজ করি, কোনোরকম ভাবে মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। জানি না আর কতদিন চালাতে পারব।


অমৃতার মা সুধা বর্মন জানান, শিক্ষক-শিক্ষিকারাই ভরসা। আমি গর্বিত যে, আমার মেয়ে স্কুলে প্রথম হয়েছে। কষ্ট হলেও থেমে থাকা নয়, যেভাবেই হোক চালিয়ে যাব।


সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরে--9883937943 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 


আরও পড়ুন: রোজ ৮ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে পড়তে গিয়েও উচ্চমাধ্যমিকে ৪১১ আজমিরার!