নিজস্ব প্রতিবেদন: আলিয়া বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ছাত্রনেতা আনিস খানের (Anish Khan) মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পর মৃতের বাড়িতে গেল পুলিস। রবিবার সকালে আনিসের আমতা থানার সারদা দক্ষিণ পাড়ার বাড়তে যান আমতা থানার এএসআই (ASI)। এরপরই পুলিস ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিবার এবং গ্রামবাসীরা। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে যায় পুলিস। CBI তদন্তের দাবি ওঠে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার সকালে আনিসের বাড়িতে যান আমতা থানার এএসআই (ASI)। ঘটনাস্থল ঘিরতে যায় পুলিস। কিন্তু মৃতের পরিবার এবং গ্রামবাসীদের লাগাতার বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ঘটনার কথা পুলিসকে জানান হলে তাঁদের মধ্য়ে গড়িমসি দেখা যায়। বহুক্ষণ ঘটনাস্থলে পড়ে থাকে আনিসের রক্তাক্ত দেহ। প্রায় সাত-আট ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে চলে যায়। কিন্তু তারপর থেকে পুলিসকে আর সেখানে দেখা যায়নি। এমনকী, ঘটনাস্থলে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকে চাপ চাপ রক্ত। কোনও নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। 


ফলে রবিবার সকালে পুলিস ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে দেননি আনিসের পরিবারের সদস্যরা। প্রবল বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। পুলিসকে গাফিলতির কথা স্বীকার করতে হবে, এমনই দাবি তোলেন তাঁরা। মৃতের বাবা সালেম খান বলেন, "পুলিসই মেরেছে, পুলিস আবার কী করবে। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই।" যদিও পুলিসের দাবি, অন্য কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে পৌঁছতে দেরি হয়েছে। প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর এলাকা ছাড়ে পুলিস।


পাশাপাশি, আনিসের বন্ধুদের দাবি বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। পুলিসকে চিঠি লিখে সেই কথাও জানায় আলিয়া বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ছাত্রনেতা। অভিযোগ, পুলিসের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। শুক্রবারের ঘটনার পরেও পুলিস নিষ্ক্রিয় ছিল বলে পরিবারের অভিযোগ। মৃত পড়ুয়ার বাবা সালিম খানের দাবি, শুক্রবার রাতে বাড়িতে আসা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের মধ্য়ে একজন পুলিসের পোশাকে ছিল। তার হাতে বন্দুক ছিল। বাকি তিনজন সিভিক পুলিসের পোশাকে ছিল। তাঁর অভিযোগ, চারতলা থেকে আনিসকে (Anish Khan) মারতে মারতে তিন তলায় নিয়ে যায় আততায়ীরা। সেখান থেকে তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি আনিসের (Anish Khan) মোবাইলটা কোথায় সেই প্রশ্নও তুলেছে পরিবার?


প্রসঙ্গত, আমতা থানার সারদা দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা আনিস খান (Anish Khan)। শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর সঙ্গে ঘটে এক মর্মান্তিক ঘটনা। চোখের সামনে ছেলেকে 'খুন' হতে দেখেন বাবা।  পরিবারের অভিযোগ, ওই রাতে মৃত আনিস খানের বাড়িতে যায় চারজন অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি। তারা পুলিসের পোশাকে ছিল। আমতা থানা থেকে গিয়েছে বলে জানায়। আনিস বাড়িতে রয়েছে কিনা জানতে চায় তারা। তাঁর বাবা 'আনিস বাড়িতে নেই' বললেন, তা মানতে চায়নি অভিযুক্তরা। এরপর কথা কাটাকাটি লেগে যায়। মৃতের বাবা জানান, যেহেতু সকলে পুলিসের পোশাকে ছিলেন তাই তিনি বেশি কথা বাড়াননি। এরপর একজন নীচে তার বাবার কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। বাকি তিনজন ভিতরে গিয়ে উপরে উঠে যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটে অঘটন। মৃতের বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে খুন করে ওই অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিরা। এরপর চম্পট দেয় তারা।