বাঁকুড়া থেকে ওড়িশায়! ২২ বছর খোঁজ মিলল মানসিক ভারসাম্যহীন প্রৌঢ়ের
হঠাৎ-ই একদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ১-২ বছর নয়, ২২ বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন। বাঁকুড়া থেকে পৌঁছে গিয়েছিলেন ওড়িশায়। কীভাবে? জানেন না কেউ-ই। অবশেষে খোঁজ মিলল মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির। স্বামীকে ফিরে পেলেন শালতোড়া থানার শ্যামপুরে গ্রামের কল্পনা পরামানিক।
জানা গিয়েছে, শ্যামপুর গ্রামে ২ সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ভরা সংসার ছিল নিতাই পরামানিকের। হঠাৎ-এ একদিন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন তিনি। আশেপাশের গ্রামে ও আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজ করেছিলেন স্ত্রী কল্পনা। কিন্তু স্বামীর সন্ধান পাননি তিনি। শেষপর্যন্ত ২ সন্তানকে নিয়ে চলে যান বাপের বাড়িতে। এভাবেই কেটে যায় ২২ বছর।
আরও পড়ুন: Sodepur: অমানবিক! ছাত্রীর দেহের উপর চলে গেল একের পর এক ট্রেন
স্বামীকে ফিরে পাওয়ার আশা কার্যত ছেড়েই দিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে আচমকাই শালতোড়া থানা থেকে ফোন আসে। পুলিস কল্পনা জানায়, নিতাই রয়েছে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার ভূমা গ্রামে! এমনকী, ভিডিয়ো কলে স্বামীকে চিনতে-ও পারেন তিনি। ভূমা গ্রামের লোকেরাই পুলিসের মারফৎ নিতাইকে তুলে দেন পরিবারের হাতে।
আরও পড়ুন: Elephant Task: বিদেশ থেকে পাচার হয়ে হুগলিতে? উদ্ধার ১০ কোটি মূল্যের ৪টি হাতির দাঁতের মূর্তি
কীভাবে নিতাই পরামানিকের হদিশ মিলল? জানা দিয়েছে, ২২ বছর আগে বাড়িতে থেকে বেরিয়ে কোনওভাবে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার ভূমা গ্রামের পৌঁছন নিতাই। সেখানে জ্বর গায়ে পড়েছিলেন গাছের তলায়। স্থানীয় বাসিন্দা হেমন্ত দাস তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করে তোলেন। সম্প্রতি শুধুমাত্র গ্রামের নামটিই বলতে পেরেছিলেন নিতাই। এরপর ইন্টারনেট ঘেঁটে সেই গ্রামটিকে খুঁজে বের করে শালতোড়া থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন হেমন্ত দাসের পরিবারের লোকেরা।