নিজস্ব প্রতিবেদন: মাত্র ৪ দিনে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫ স্ত্রী গন্ডারের। একসঙ্গে এতগুলো স্ত্রী গন্ডারের মৃত্যু জলদাপাড়ায় এই প্রথম। ফলে চিন্তার ভাঁজ বন দফতরের আধিকারিকদের কপালে। তাঁদের আশঙ্কা, অ্যান্থ্রাক্স থেকে ওই মৃত্যু হতে পারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ফেসবুক লাইভ করে আত্মহত্যায় চেষ্টা, তারপর...


জলদাপাড় অভয়ারণ্যের ডিএফও কুমার বিমল জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হতে রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে কলকাতায়। রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে অ্যান্থ্রাক্স কিনা। তবে সংক্রমণ রুখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ যাতে অন্য পশুদের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য শুরু হয়েছে ভ্যাক্সিনেশনের কাজ। পাশাপাশি চলছে স্যানিটাইজেশন। ভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে কুনকি হাতি ও হাতি সাফারিতে যুক্ত হাতিদেরও।


এদিকে, সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাতির সাফারি। ফলে হাতি না মেলায় হতাশ পর্যটকরা।


আরও পড়ুন-৫ দিনের লড়াই শেষ, ঘুটিয়ারি শরিফে বিস্ফোরণে জখম শিশুর মৃত্যু হাসপাতালে


উল্লেখ্য, উত্তরের জলদাপাড়া, গরুমারা ছাড়াও উত্তরপূর্বের কাজিরাঙা পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয় । বছর খানেক আগের তথ্য অনুযায়ী জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে গন্ডার রয়েছে ২৩১ টি । গরুমারাতে ৫০ এর বেশি । কাজিরাঙাতে গন্ডারের সংখ্যা ২৪১৩ । এই সংখ্যা আশাপ্রদ হলেও গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি গন্ডার চোরাশিকারিদের হাতে প্রাণ হারিয়েছে জলদাপাড়াতে ।  পাশাপাশি ২০১৯ সালের বন্যায় কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে ১২ টি গন্ডারের প্রাণ গেছে । এর পাশাপাশি  নতুন করে মাত্র ৪ দিনে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে  ৫ টি স্ত্রী গন্ডারের প্রাণ গিয়েছে। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে বন দফতরে।