নিজস্ব প্রতিবেদন : "চলুন মাস্টারমশাই ঘুরি বাড়ি বাড়ি", তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে আগেই এই পদক্ষপের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেইমত আজ থেকে বীরভূমে কাজ শুরু করে দিলেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্যরা। এদিন সকাল থেকেই গ্রামের মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারের 'নিজ গৃহ নিজ বাড়ি', 'গীতাঞ্জলি' সহ প্রায় ৩৬টি প্রকল্প মানুষকে বোঝান তাঁরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন বীরভূমের মুলুক এলাকায় আদিবাসীপাড়াগুলিতে যান শিক্ষকরা। আজ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মন্ডলও। খুদে ছাত্রদের হাতে পড়াশোনার সামগ্রী তুলে দেন তিনি। কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অনুব্রত মন্ডল বলেন, মানুষ যাতে সবরকম সুবিধা পায়, সেই কারণেই এই কর্মসূচি। শিক্ষকরা মানুষকে বোঝাবে-জানাবে বিষয়গুলি। 


আজকের কর্মসূচিতে শিক্ষকদের সামনেই এক আদিবাসী মহিলা মুনি হাঁসদা বলেন, "তিনি কোনওকিছুই পাননি। বার্ধক্য ভাতা পাননি, বাড়িও পাননি।" শোনামাত্র তাঁকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন শিক্ষকরা। আরেক গ্রামবাসী বাবলু সোরেন জানান, তাঁরা সবই পেয়েছেন। তবে তাঁদের পুজোআর্চার জায়গা নিয়ে একটু সমস্যা রয়েছে। সেকথা তাঁরা জানিয়েছেন। 


তৃণমূলের শিক্ষক সেলের নেতা তথা বীরভূম জেলা প্রাইমারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেন, "আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি। বিরোধীরা যে যাই বলুক, আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। শিক্ষকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই কাজই করছেন।" অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে বলেন, "দুয়ারে প্রকল্প সরকারের নাকি দলের? সরকার আর দল এক হয়ে গেল! সরকারি পয়সায় দলের কাজ হচ্ছে। মাস্টারমশাইদের বোঝা দরকার, তাঁদের যেভাবে দলের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।"


আরও পড়ুন, 'BJP-তে গেলে ভোট বাড়বে... তৃণমূলে কোনও বিকল্প নেই,' শুভেন্দু প্রশ্নে দ্বিবিভক্ত নন্দীগ্রাম


আরও পড়ুন, 'দলবিরোধী'! আলিপুরদুয়ারের সহ সভাপতি ও ফালাকাটার সাধারণ সম্পাদককে বরখাস্ত করল তৃণমূল