Anubrata Mandal: মঙ্গলবার দুবরাজপুর আদালতে অনুব্রত মন্ডল, দিল্লি যাত্রা আটকাতেই এই পথ? উঠছে প্রশ্ন
মঙ্গলবার তাকে দুবরাজপুর আদালতের তোলা হবে। সেই জন্য আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারের সাহায্য চেয়েছে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিসের পক্ষ থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে দুবরাজপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অনুব্রত মণ্ডলকে মঙ্গলবার নিয়ে যাওয়া হবে বীরভূম জেলার দুবরাজপুর আদালতে। অনিচ্ছাকৃত একটি খুনের মামলা রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তরা ইতিমধ্যেই বেকসুর খালাস হয়ে গিয়েছেন। ২০১৪ সালের পুরনো এই মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতে নিয়ে যাচ্ছে আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার তাকে দুবরাজপুর আদালতের তোলা হবে। সেই জন্য আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারের সাহায্য চেয়েছে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিসের পক্ষ থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে দুবরাজপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে। ওই আদালতে শুনানি শেষ হলে ফের তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগারে ফেরত নিয়ে আসার কথা রয়েছে। তবে বিচারকের রায়ের ওপরই সবকিছু নির্ভর করছে।
আরও পড়ুন: Asansol Mine Accident: আসানসোলে খনিতে উলটে গেল ট্রাক্টর!মৃত ১
জানা গিয়েছে অনুব্রত মন্ডল গ্রেফতারের আগে দুবরাজপুরে শিবশংকর মন্ডল নামে এক তৃনমুল কর্মীকে দুবরাজপুর পার্টি অফিসে ডেকে মারধোর করে। শিবশংকর মন্ডল বিজেপিতে যোগদান করবে শুনে এই ঘটনা ঘটায় অনুব্রত। সেই ঘটনায় দুবরাজপুর থানা এলাকার মেজে গ্রামের বাসিন্দা শিবশংকর মন্ডল গতকাল দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিস এই ঘটনায় অনুব্রত মন্ডলকে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতে চাইবে বলে জানা গিয়েছে। ভারতীয় দন্ডবিধির ৩২৩, ৩২৫, ৩০৭ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা করা হয়েছে অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: Burdwan TMC Clash: মেসির হাতে বিশ্বকাপ, বর্ধমানে খেলা দেখার পর সংঘর্ষ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর...
মূলত বলা যায়, ইডি এসে অনুব্রত মন্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আগে হঠাৎ পুলিসের এই তৎপরতা আইনের কোনও বিষয় হবে বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে। যেন অনুব্রত মণ্ডলকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল কোনওভাবে হয়রানি করতে না পারে। পাশাপাশি রাজ্য প্রশাসনও যেন স্বচ্ছ থাকে। এখন দেখার অনুব্রত মন্ডলকে কখন দিল্লি নিয়ে যাওয়া যায়।
জানা গিয়েছে যদি আদালত অনুব্রত মন্ডলকে পুলিস কাস্টডিতে নিয়ে যাওয়ার রায় দেয় সেক্ষেত্রে কিন্তু আসানসোল সংশোধনাগারেই থাকতে পারবেন তিনি। অভিযোগ করা হচ্ছে সেই কাস্টডির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে ইডি এবং সেই কারণেই এই চেষ্টা করছ পুলিস।