কমলিকা সেনগুপ্ত:   তাঁর এক হাঁকে সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন ৮ হাজার পুরোহিত। তাঁর সান্নিধ্যেই সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের মঙ্গলকামনায় মন্ত্রোচারণ করেছেন এক পৈতিধারী। আর তাঁর এই পদক্ষেপেই ‘হিন্দুত্ববাদ’ ইস্যুতে বিজেপির কটাক্ষের শিকার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তথা তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু ২৪ঘণ্টার প্রতিনিধির সামনে নিজস্ব ভঙ্গিতে সমস্ত কটাক্ষেরই জবাব দিলেন কেষ্ট। মুকুল রায়কে চরম খোঁচা’ দিলেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুকুলের উদ্দেশে তোপ দেগে অনুব্রত এদিন বলেন, ‘ওই যে নতুন দল বদলেছে, ও একজন চোর। ওঁর ছেলেও চোর। ওঁর ছেলে রাতে কেন ফোন করত?  চোরের আবার কিসের হিন্দুত্ববাদ?’  


বিজেপিকে কটাক্ষ করে অনুব্রত বলেন, ‘ওরা পাগল-ছাগল। ওরা কী বলল, তাতে পাত্তাও দিই না। ওরা কী বলল, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, দল কী বলল তা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সব ধর্মে বিশ্বাস করি।‘


আরও পড়ুন: ‘গিমিক করে কিছু করতে পারবেন না কাছড়াপাড়াবাবু’, মঞ্জু-ইস্যুতে মুকুলকে কটাক্ষ পার্থর


‘ অনুব্রত আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রাহ্মণ। তাঁর আর্শীবাদ নিয়ে সব কাজ করি। বিজেপি পঞ্চায়েতে একটি আসনও পাবে না। সব আমরাই জিতব।‘


২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধির সঙ্গে এদিন একান্ত সাক্ষাত্কারে মুকুল প্রসঙ্গে কার্যত বিস্ফোরক ছিলেন কেষ্ট। দলত্যাগীকে আক্রমণের কোনও সুযোগই ছাড়েননি তিনি। একদিকে, বীরভূমের লাল মাটিতে সংগঠন পোক্ত করার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। আর সেখানে দাঁড়িয়ে হিন্দুত্ববাদ নিয়ে তৃণমূলের এক ‘সেনাপতি’র এমন সুর চড়ানোকে অন্য চোখেই দেখছে রাজনৈতিক মহল।


আরও পড়ুন: 'পুরোহিত সম্মেলন করে প্রায়শ্চিত্ত হবে না', অনুব্রতকে পাল্টা দিলীপ


প্রশ্ন উঠছে, যখন সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা বলে মা-মাটি-মানুষের সরকার, তখন হঠাত্ কেন রাঙা মাটির দেশে পুরোহিত সম্মেলন?  কেন হঠাত্ অনুব্রতকে জোর গলায় বলতে হল, তিনি দেবী দুর্গার পুজো করেন?  তবে কি কোথাও গিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী’ বিজেপিকে টেক্কা দিতে এই পথই বেছে নিচ্ছে তৃণমূল?  এই প্রশ্নগুলি নিয়েই এখন জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।