বুথকর্মীদের বিধানসভা ভোটের লিড বাড়ানোর দাওয়াই দিলেন অনুব্রত
এ দিন বেরেণ্ডা অঞ্চলের বেলুটি গ্রামে একটি বুথে গত লোকসভা ভোটে দলের পরাজয়ের কারণ জানতে চান অনুব্রত। তাঁর প্রশ্নে এক কর্মী জানান, সরকারি আবাস যোজনার অনুদান আটকে
নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে এসে একাধিক অভিযোগের সম্মুখীন হলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এ দিন পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে বুথ ভিত্তিক কর্মিসভা করেন অনুব্রত। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মত্সমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার, ব্লক সভাপতি শেখ সালেক রহমান-সহ অন্যান্য।
সভা শুরুতেই অনুব্রতর কাছে একগুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়ে। কোথাও মাসাধিকাল ধরে সরকারি আবাস যোজনার বাড়ির অনুদান আটকে তো কোথাও গ্রামবাসীদের জবকার্ড বাতিল হওয়া নিয়ে অভিযোগ। এ ধরনের অভিযোগ আসা মাত্রই সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য কর্মীদের কড়া নির্দেশ দেন অনুব্রত মণ্ডল। পাশপাশি তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের দিকগুলি সাধারণ মানুষদের কাছে তুলে ধরে বিধানসভা ভোটে লিড বাড়াতে হবে। যারা এখনও বিজেপি বা সিপিএমের প্রতি ঝুঁকে রয়েছে তাদের বুঝিয়ে দলে আনতে হবে।"
এ দিন বেরেণ্ডা অঞ্চলের বেলুটি গ্রামে একটি বুথে গত লোকসভা ভোটে দলের পরাজয়ের কারণ জানতে চান অনুব্রত। তাঁর প্রশ্নে এক কর্মী জানান, সরকারি আবাস যোজনার অনুদান আটকে। বেশ কিছু মানুষের জবকার্ড বাতিল হয়ে গিয়েছে। এ নিয়ে তৃণমূলের প্রতি বিতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছে কিছু মানুষ। অভিযোগ শোনা মাত্রই তৎক্ষণাৎ স্থানীয় বিধায়ক ও দলের ব্লক সভাপতির কাছে কৈফিয়ত চান। নিজেই আউশগ্রাম ১ বিডিও চিত্তজিৎ বসুকে ফোন করেন অনুব্রত। বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডারকে বলেন, "রকেট তুই বিডিওর সঙ্গে দেখা করে সমস্যা সমাধান করে দিবি।"
আরও পড়ুন- 'তৃণমূল ৩০ শতাংশের জন্য করেছে, বিজেপি ১০০ শতাংশের জন্য কাজ করবে', প্রতিশ্রুতি কৈলাসের
সরকারের এত উন্নয়নের পরেও কেন আদিবাসী মানুষেরা দল থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন? জানতে চান অনুব্রত মণ্ডল। আদিবাসীদের মন পেতে মঞ্চ থেকে অঞ্চল সভাপতি ও বুথ সভাপতিকে 'কেষ্টর' নির্দেশ, মানুষকে বোঝাতে হবে। বারবার তাদের বাড়িতে যেতে হবে। স্থানীয় নেতৃত্বের অসহযোগিতার অভিযোগ করেন নিচুতলার কিছু কর্মী। তাঁদের উদ্দেশে অনুব্রত বলেন, " এরকম সমস্যা হলে তোমরা আমাকে সরাসরি ফোন করবে। আমি দেখে নেব।"
সম্মেলন শেষে বিভিন্ন দল থেকে বেশ কয়েকজনকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দান করান অনুব্রত মণ্ডল। পাশাপাশি এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে অশিক্ষিত বলে কটাক্ষ করেন। বলেন, "কোভিড যুদ্ধে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের পাশাপাশি লড়াই করছে পুলিস। আর সেই পুলিসকে অপমান করছে দিলীপ।