নিজস্ব প্রতিনিধি:  দল অনুমোদন করুক না করুক, অনুব্রত মণ্ডলের যেন কিছুই যায় আসে না। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধান, ফের স্বমহিমায় অনব্রত। বুধবার বিরোধীদের চোখ উপড়ে নেওয়ার হুমকির পর এবার বিরোধীদের ‘ছানি পড়া চোখ’ অপারেশন করে দেওয়ার জন্য দলীয় কর্মীদের নিদান দিলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার সাঁইথিয়ায় দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে অনুব্রত মণ্ডল বললেন, ‘’বিরোধীদের চোখে অপারেশন করিয়ে দিন, আর দেখিয়ে দিন উন্নয়ন।‘’ বিরোধীদের নিশানায় রেখে দলীয় কর্মীদের আরও পাঠ দেন তিনি। বলেন, ‘’চোখ রাঙাবেন না, ভয় দেখাবেন না। এসব সহ্য করবো না। তোলপাড় করে দেব, উন্নয়নে বাধা দিতে এলে সব তছনছ করে দেব।‘’


আরও পড়ুন: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত বাঁকুড়ার পাত্রসায়র


প্রসঙ্গত,  বোলপুরের শিবপুরে ৩০০ একর জমির উপর বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় ও গীতবিতান স্মার্ট সিটি তৈরির কাজ শুরু নিয়েই যত বিড়ম্বনা। কৃষকদের অভিযোগ, শিল্পের জন্য তাঁদের কাছ থেকে জমি নিয়ে এখন স্মার্টসিটি গড়ে তোলা হচ্ছে। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। অনিচ্ছুক কৃষকদের হয়ে মামলা লড়ছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাদের হয়েই গত বুধবার সভায় যাচ্ছিলেন সিপিএমের তরফে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান। আর তা নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। পুলিসকে এক প্রস্ত সেদিন ধমকান অনুব্রত। হুমকি দেন বিরোধীদেরও।


গত শনিবারই বীরভূমের মহম্মদবাজারে এক জনসভায় অনুব্রত হুমকি দেন, ‘’ পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় তৃণমূল জিতবে। ভয় দেখাবেন না। ভয় দেখালে চোখ উপড়ে নেবেন, পাথরের চোখ লাগিয়ে দেবেন।‘’


বুধবার পুলিসকে হুমকি দিয়ে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন অনুব্রত। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে গ্রেফতারের দাবিতে বামফ্রন্টের তরফে মিছিল কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। তারই প্রতিবাদে এদিন ফের স্বমহিমায় অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘’আমার হাত রয়েছে বলে, সিপিএম বাড়ি থেকে বেরোতে পারছে। আমি হাত সরিয়ে নিলে সিপিএম আর বাড়ি থেকেই বেরোতে পারবে না। ওদের কোনও বড় লিডার এলে, আমাকে ফোন করে। আমিই বিষয়টি দেখে দিই।‘’


আরও পড়ুন: অগ্নিশর্মা অনুব্রত! পুলিসকে ধমকে-চমকে আবারও শিরোনামে কেষ্ট


অনুব্রতর একের পর এক মন্তব্যে বেজায় অস্বস্তিতে দল। তাঁর মন্তব্য দল অনুমোদন করে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাতেও যে অনুব্রতর কিছু যায় আসে না, এদিন ফের তার প্রমাণ মিলল।