কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সমস্যায় 'মুশকিল আসান' তিনিই। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাই দায়িত্ব বাড়তে চলেছে অনুব্রত মণ্ডলের। ইতিমধ্যে বীরভূম ছাড়িয়ে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান ও বাঁকুড়ায় পৌঁছেছে তার পসার। লোকসভা ভোটের আগে আরও বাড়তে চলেছে 'কেষ্ট দা'-র দায়িত্ব। ইতিমধ্যে তাঁকে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, নদিয়া জেলার একাংশেরও দায়িত্বও পড়তে চলেছে তাঁর কাঁধেই। 


লোকসভা নির্বাচনের মুখে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত রুখতে বারবরের মতো অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বেই ভরসা রাখতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে বীরভূম-সহ একাধিক জেলায় নিজের সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। নিজের জেলা তো বটেই, পড়শি একাধিক এলাকায় তাঁর নেতৃত্বেই ফুটেছে ঘাসফুল। দলীয় কোন্দল মিটিয়ে তৃণমূলের জয়ের রথকে অবাধে এগিয়ে নিয়ে যেতে যে তাঁর জুড়ি মেলা ভার তা আগেই মেনে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই একাধিক অভিযোগের পরও অগ্রাধিকার পেয়েছেন তিনি। এবার তাই লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার মঙ্গলকোট ও নদিয়ার একাংশের দায়িত্ব বর্তাতে চলেছে তাঁর কাঁধেই। 


মঙ্গলকোটে তৃণমূলের রয়েছে ২টি গোষ্ঠী। একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী। অন্যটির নেতৃত্বে স্থানীয় বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। গত কয়েক বছর ধরেই সেখানে অপূর্ব চৌধুরীর শিবির শক্তি বাড়িয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে সরকারি অনুষ্ঠান ছাড়া নিজের বিধানসভা এলাকায় অন্য কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দেন না সিদ্দিকুল্লাহ। 


দিলীপ ঘোষের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ চাইল হাইকোর্ট


ওদিকে নদিয়ার অবস্থা আরও শোচনীয়। সেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীর সংখ্যা আরও বেশি। বহু চেষ্টাতেও সেখানে সংগঠন পোক্ত করতে পারেনি তিলজলার তৃণমূল ভবন। সেই সুযোগে সংগঠন বাড়াচ্ছে বিজেপি। আগামী সপ্তাহে নদিয়ায় সাংগঠনিক বৈঠক ডেকেছে তৃণমূল। সেখানেই তৈরি হবে লোকসভা নির্বাচনের রণনীতি। সেই বৈঠকে ডাক পড়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। 


সূত্রের খবর, নদিয়ার একাংশের ভারও যেতে চলেছে অনুব্রত মণ্ডলের কাছেই। এখন দেখার, নদিয়ায় তৃণমূলের বিপদ কতটা কাটাতে পারেন কেষ্ট দা।