নিজস্ব প্রতিবেদন: ভাটপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ও হিংসায় আক্রান্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করলেন অর্পণা সেনরা। বুদ্ধিজীবীদের ভাটপাড়া গমনের নেপথ্যে তৃণমূলের রাজনীতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। সেই অভিযোগ উড়িয়ে অর্পণা সেন শুরুতেই বলেন,''সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে এসেছেন। আম নাগরিক হিসেবেই এটা তাঁর কর্তব্য। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক রং নেই''। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা ভোটের আগে থেকে হিংসায় উত্তপ্ত বারাকপুর। ভোটের পর হিংসার মাত্রা বেড়েছে বই কমেনি। সদ্য সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দুজনের। তারপর আবার অচলাবস্থা ভাটপাড়ায়। তৃণমূল-বিজেপি দুপক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক জাঁতাকলে করুণ অবস্থা বাসিন্দাদের।



বৃহস্পতিবার বুদ্ধিজীবীদের হাতের কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। তাঁরা বলেন,'ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারছেন না। ঘটনার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। ঘরে আনাজপাতিও বাড়ন্ত'। হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করলেন এক তরুণী। কাঁকিনাড়ায় একটি এলাকায় বহু মানুষ এখনও ঘরছাড়া। তছনছ হয়ে গিয়েছে বাড়ি-ঘর। কৌশিক সেন স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন, নিজেদের উপরে ভরসা রাখুন। 



পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর অর্পণা সেনের পর্যবেক্ষণ, ওরা নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল করছে না। বাইরে থেকে লোক এসে হামলা করেছে। কৌশিক সেনের মতে, তৃণমূল-বিজেপি দুপক্ষের কর্মীদের অবস্থাই এক। এলাকা দখলের লড়াইয়ে ভুক্তভোগী সাধারণ। 



এদিন হত রামবাবু সাউ ও ধর্মবীর সাউয়ের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন অর্পণা সেনরা। এরপর ভাটপাড়া থানায় জমা দেন স্মারকলিপি। 


আগামিকাল অর্থাত্ শুক্রবার ভাটপাড়ায় যাচ্ছে সাত সদস্যের তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ওই দলটি ঘুরে আসার পর রিপোর্ট দেবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। 


আরও পড়ুন- স্কুলে সংখ্যালঘু পড়ুয়া ৭০% হলেই তৈরি করতে হবে ডাইনিং হল, নির্দেশ রাজ্যের