Arambagh: এবার কি আগুন-দাম হবে আলু, কাঁচালঙ্কার? অকালবৃষ্টির জলে হাবুডুবু মাঠের পর মাঠ...
Arambagh: রবিফসলের জমি জলে হাবুডুবু খাচ্ছে। সঙ্গে চলছে শস্য বাঁচাতে মরণপণ লড়াইও। বিঘার পর বিঘা পিঁয়াজের ক্ষেত জলের তলায়। বাড়ির মহিলারা গ্রুপ লোন নিয়ে চাষাবাদ করেছিলেন। ফলে এখন তাঁদের মাথায় বড় ঋণের বোঝা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রবিফসলের জমি জলে হাবুডুবু খাচ্ছে। সঙ্গে চলছে শস্য বাঁচাতে মরণপণ লড়াইও। বিঘার পর বিঘা পিঁয়াজের ক্ষেত জলের তলায়। বাড়ির মহিলারা গ্রুপ লোন নিয়ে চাষাবাদ করেছিলেন। ফলে এখন তাঁদের মাথায় বড় ঋণের বোঝা। চাষের জন্য স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী থেকে মহিলারা ঋণ নিয়ে কমবেশি পাঁচ বিঘা করে জমিতে রবি শস্যের চাষ করেছিলেন। কিন্তু অকাল বৃষ্টির জলে হাবুডুবু খাচ্ছে মাঠের পর মাঠ।
আরও পড়ুন: Malbazar: নকশালে ভিড়! শীত পড়তেই রবিবারে পিকনিকে মাতল পাহাড়...
বিঘার পর বিঘা পেঁয়াজের জমি জলের তলায়। নষ্ট হয়েছে ও হচ্ছে ডাল কলাই, সরিষা, আলু, রসুন, ধনে, মটরশুঁটি, কাঁচালঙ্কা প্রভৃতি ফসল, কেননা জমিতে জল জমে রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের রবি ফসলই নষ্ট হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। গোঘাট ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত শ্যাওড়া, মুক্তারপুর, কুশমা ,বেলে, দেওয়ানচক, মলমহল, বালি-সহ ১৮-২০টি গ্রামের চাষিদের হাহাকার উঠেছে। শ্যাওড়া গ্রাম পঞ্চায়েত, বালি গ্রাম পঞ্চায়েত ও নকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকার মহিলারা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ঋণ নিয়ে রবি ফসলের চাষ করেছিলেন। এই জমিতে রবি ফসল চাষ করেই সারা বছর খোরাকিটুকু হয় এই সমস্ত চাষিবাসি এলাকায়।
উল্লেখ্য, নিম্নচাপের বৃষ্টির ফলে জমা জল ক্রমশই এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার খাল বিল দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। খালগুলি সংস্কার না হওয়ায় মাঠের পর মাঠ প্লাবিত হয়েছে। সমস্ত কৃষিজমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। চাষিরাও কোনও রকমে খালগুলি থেকে যাতে জল আরও বেশি করে জমিতে না ঢোকে, সেই চেষ্টা করছেন। ঝুড়ি-কোদাল নিয়ে খালের পাড় বাঁধতে চলছে চেষ্টা। আরামবাগ মহকুমার গোঘাটের এই এলাকাগুলিতে বেশিরভাগ পিঁয়াজ ও ডালশস্যের চাষ হয়।
সম্প্রতি মিগজাউমের জেরে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় গত বুধবার রাত থেকেই শুরু হয়েছিল হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার ছিল। মেঘলা আকাশে মাঝে মাঝে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি পড়ছিল। কোথাও রীতিমতো জোরেই। আর লাগাতার এই বৃষ্টিতে জেলায় জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আমন ধান, পিয়াঁজ ও আলু চাষ। এই সব চাষে তখনই ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করেছিলেন সংশ্লিষ্ট কৃষকেরা।
আরও পড়ুন: Gita Recitation in Mahesh: ৬২৭ বছরের প্রাচীন মাহেশে ১০০০ কণ্ঠে গীতাপাঠ! দেখুন এক্সক্লুসিভ ছবি ...
মাথায় হাত হুগলির কৃষকদেরও। আরামবাগ অঞ্চলে সবে খরিফ মরশুমের ধান মাঠ থেকে তুলতে শুরু করেছিলেন কৃষকেরা। আর তার মধ্যেই বাধ সেধেছিল আবহাওয়া। আলুচাষেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল অকালবৃষ্টিতে। যাঁরা সবে আলুবীজ পুঁতেছিলেন তাঁদের বীজ পচে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। প্রায় তাই-ই ঘটেছে। যাঁরা বীজ বোনার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন তাঁদের চাষের কাজ অনেক পিছিয়ে গেল। ফলে সব মিলিয়ে মিগজাউমের প্রভাবে আরামবাগ জুড়ে ধান ও রবিশস্যের চাষের বিশাল ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। অনেক চাষি এসময় ঋণ নিয়ে চাষ করেন। শস্য ঠিক সময়ে না উঠলে, শস্যের দাম ঠিক না পেলে সারা বছরের জন্য ক্ষতি হয়ে যায় তাঁদের।