নিজস্ব প্রতিবেদন: পুজোর আগেই সুখবর পিটিটিআই চাকরি প্রার্থীদের জন্য। সুপ্রিম নির্দেশে অবশেষে জটমুক্ত হল সমস্যা ৷ নির্দেশ অনুযায়ী, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাকরি দিতে হবে মামলাকারীদের। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রায় ১২০০ মামলাকারীকে নিয়োগপত্র দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ৷


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


প্রসঙ্গত,  প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ২০০১ নিয়ম অনুযায়ী,  সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদগুলি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করত। সেই আইন অনুযায়ী জেলায় জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয় ২০০৬ সালে।  পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের পাশাপাশি প্রশিক্ষণহীনরাও এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। এই বছরই রাজ্যসরকার নতুন ভাবে ঘোষণা করে পিটিটিআই ট্রেনিং নেওয়া পড়ুয়াদের অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া যাবে না। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দারস্থ হন পড়ুয়ারা। হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় পড়ুয়াদের শংসাপত্র বৈধ এবং তাঁদের অতিরিক্ত ২২ নম্বর দিতেই হবে। 


আরও পড়ুন: সতীদাহ প্রথা অবসান করেছিলেন বিদ্যাসাগর, বললেন বাবুল সুপ্রিয়


পাশাপাশি চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, পিটিটিআই প্রশিক্ষণের সংশ্লিষ্ট নম্বর দিয়ে মামলাকারীদের নিয়োগ সম্পূর্ণ করতে শীঘ্রই। ৩ মাসের রাজ্যের প্রায় দেড় হাজার মামলাকারীকে নিয়োগ করার নির্দেশ দেয় বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল ও দীপক গুপ্তার বেঞ্চ। সময় পেরোলেও শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে নিয়োগ করেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। 


তবে সময় পেরিয়ে গেলেও কাজ এগোয়নি। এরপর আদালত অবমাননার দায়ে, জুলাইয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও স্কুল শিক্ষা সচিবকে নোটিশ দেওয়া হয় ৷ গত সোমবার শুনানিতে আদালতের তরফে জানানো হয়, শেষ সুযোগ হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আরও ১ মাস সময় দেওয়া হয়েছে ৷ সেই মতো আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পিটিটিআই মামলাকারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে পর্ষদকে। উল্লেখ্য, ১০ বছর পর অবশেষে চাকরি পাচ্ছেন মামলাকারীরা৷