বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: রান্নার পর আর উনুন নেভাননি কেউ। তারই মর্মান্তিক পরিণতি হলে পরিবারের মহিলার। শুধু তাই নয় বাড়ির আরও ৫ জন এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। আসানসোলের ওই ঘঠনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বৃষ্টি কমে ফের উর্ধ্বমুখী তাপমাত্রা, কবে থেকে ফের বাড়বে দুর্যোগ?


আসানসোল পুলিসের দাবি, একই পরিরবারের ৬ জন বাড়িতে উনুন জ্বেলেই ঘুমাতে চলে যায়। খেয়ালই করেনি উনুন নেভাতে হবে। দরজা জানালা বন্ধ থাকায় ঘরে অক্সিজেন প্রবেশ করতে পারেনি। ঘর ভরে যায় বিষাক্ত গ্যাসে। তারই প্রভাবে অচেতন হয়ে পড়ে বাড়ির ৬ জন। প্রতিবেশীরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে এক মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বাকী ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত মহিলার নাম হাসি নাথ। বয়স ৪৭ বছর।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে আসানসোল দক্ষিণ থানার মহিশিলা কলোনির অরবিন্দ পল্লীতে তিলোক নাথ পরিবারের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে থাকত। তারা সাধারণত রুটি তৈরি করে বিক্রি করার কাজ করতো। রুটি বিক্রি হয়ে যাবার পর বাড়ির মধ্যে ওই জ্বলন্ত উনুন রেখে দিয়েছিল। বাড়িতে তার মেয়ে জামাই নাতনিও এসেছিল। সবাই ওই ঘরের মধ্যেই শুয়ে ছিল। 


শনিবার সকাল আটটা -সাড়ে আটটা বাজার পরেও পরিবারের কেউ গেট না খোলায় স্থানীয় মানুষজনের সন্দেহ হয়। গেটে বারবার ধাক্কা মারলেও কোনরকম সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন পুলিসকে খবর দিলে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিস এসে তালা ভেঙে দেখে বাড়ি পুরো ধোঁয়ায় ভরে গেছে। অচেতন অবস্থায় ৬ জন পড়ে রয়েছে। তড়িঘড়ি তাদের আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করে ও এক শিশুসহ পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের শারীরিক পরিস্থিতি এখন অনেকটাই ভালো বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মহিশীলা কলোনি এলাকায়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)