নায়ারণ সিংহ রায়: জনজাতিদের লড়াইয়ে অগ্নিগর্ভ মণিপুর। এখনওপর্যন্ত ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বহু এলাকায় ঘরছাড়া মানুষজন। জারি কারফিউ, বন্ধ ইন্টারনেট। রাজ্য প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বললেও সেখান থেকে ফেরত আসা পড়ুয়ারা বলছেন অন্য কথা। মণিপুর থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের ঘরে ফেরাবার ব্যবস্থা করেছে রাজ্যে সরকার। অন্যন্যা রাজ্যের পড়ুয়াদেরও আপাতত আশ্রয় দেওয়া হবে। সোমবার মণিপুর থেকে শিলিগুড়িতে ফিরলেন সিকিমের ৮৬ পড়ুয়া। তাদের চোখেমুখে এখনও আতঙ্ক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বিকট শব্দে রতিরামের বাড়িতে ভেঙে পড়ল মিগ, জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু ৩ মহিলার


সোমবার শিলিগুড়ির জংশনে এসএনটি (Sikkim Nationalised Transport) বাস স্ট্যান্ড থেকে ৫টি বাসে তারা সিকিমের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সিকিমের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা তারা। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই চিকিৎসা বিভাগের ছাত্র৷ মনিপুরের ইম্ফলে পড়াশোনা করছিলেন। রণক্ষেত্র মণিপুর থেকে সিকিম সরকারের উদ্যোগে তারা রবিবার ইম্ফল থেকে কলকাতা পৌঁছন। সেখানে থেকে সোমবার শিলিগুড়ি পৌঁছন। এসএনটি বাস স্ট্যান্ড থেকে মোট ৮৬ জন পড়ুয়াকে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে পাঠায় সিকিম সরকার। 


মনিপুর ফেরত পড়ুয়া তিমি থামা জানান , "মনিপুর সরকারের কাছে আমাদের আবেদন এই পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান করুন। দিনের বেলা যেমন তেমন প্রকারে কাটলেও রাতে দুর্ভোগের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বোমা থেকে গুলির আওয়াজে তটস্থভাবে থাকতে হয়। বহু মানুষ তাদের বাসস্থান হারিয়েছে। বন্ধ দোকান পাট। সিকিম সরকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ, তারা আমাদের এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে।"


অন্যদিকে কলেজ ক্যাম্পাসে পাশেই বিস্ফোরণ থেকে গুলির লড়াই দেখে অভিজ্ঞতা ভাগ করলেন ইম্ফল ফেরত ছিরিং লেপচা। ইম্ফলে কৃষিবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন তিনি। তিনি জানান, "কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে যে বসতিগুলো রয়েছে সেগুলোতে রাতের বেলা বোমা বিষ্ফোরণ থেকে শুরু করে গুলি চলছে। সবটা চাক্ষুষ দেখেছি। হোস্টেলের সমস্ত ছাত্র ছাত্রী ভয়ে তটস্থ৷ বাইরে বের হওয়ার কোন অনুমতি ছিল না। আমরা মণিপুরের জন্য প্রার্থনা করছি। পরিস্থিতি খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হয়ে উঠুক। কিন্তু আগামীতে আমাদের লেখাপড়ার ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছি।"


এক ছাত্র বললেন, পরিস্থিতি খুবই আতঙ্কের। উপজাতি গোষ্ঠীরা একে অপরের সঙ্গে লড়াই করছে। পরিস্থিতি মনে হচ্ছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। রাত হলেই আগুন, গুলির শব্দ। আমাদের কলেজের কাছে এসব চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু ওখানে থাকা মোটেই নিরাপদ নয়।  রাত হলেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে। মানুষ আশ্রয়ের জন্য কলেজ ক্যাম্পাসে আশ্রয় নিচ্ছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)