নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারত-চিন লাদাখ সীমান্তে দুদেশের সেনা সংঘর্ষে চিনা সেনাদের হাতে শহিদ হয়েছেন মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়ার রাজেশ ওরাং । তার মৃতদেহ গ্রামে আসার পর চোখের জলে ঘরের শহিদ ছেলেক শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন গ্রামের প্রতিটি মানুষ । রাজেশের আবেগ আজও ছড়িয়ে আছে মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়ার প্রতিটি গলিতে । সেই আবেগ নাড়া দিয়েছে বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়ককে।

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ছয় বছর আগে প্রয়োজনের তুলনায় দুজন ছাত্র কম থাকায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়া গ্রামের শিশু শিক্ষা কেন্দ্র । বহুবার প্রশাসনের কাছে  দরবার করেও কোনও লাভ হয়নি । কিন্তু রাজেশ শহিদ হয়ে সম্বিত ফিরিয়ে আনল বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের। শহিদ রাজেশের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তার ছোটবেলার শিক্ষাকেন্দ্রকে ছ বছর পর খোলা সিদ্ধান্ত নিল বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ । শুক্রবার শহিদ রাজেশ ওরাং এর গ্রাম মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়ায় গিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়ক কথা বললেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে ।

গ্রামের ছেলে রাজেশ শিখিয়ে গেছে অন্যায়ের সঙ্গে আপোস না করে রুখে দাঁড়াও । আজ সেইভাবেই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়কের কাছে বন্ধ হয়ে যাওয়া গ্রামের শিশু শিক্ষা কেন্দ্র খোলার আবেদন জানান গ্রামবাসীরা । গ্রামের ছোট ছোট পড়ুয়ারা সংঘবদ্ধ হয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়ককে বলে ,” গ্রামের শিশু শিক্ষা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মেঠোপথে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে শেওড়াকুড়ি হাইস্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করতে হয় তাদের।“ 

অভিভাবকদের বক্তব্য , “  শেওড়াকুরিতে ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে তারা চিন্তিত থাকেন। কারণ বর্ষায় মাঠের আলপথে যেতে হয়। সাপের ভয় , আবার গ্রীষ্মকালে কুকুর তাড়া করে। ছেলেমেয়েরা ভয়ে স্কুলে যেতে চায় না।“  সবার সঙ্গে কথা বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়ক দ্রুত যাতে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রটি খোলা যায় তার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি যতদিন স্কুল বন্ধ রয়েছে ততদিন সপ্তাহে দুজন শিক্ষক শহীদ রাজেশের গ্রামে গিয়ে শিশুদের পড়াশোনার খোঁজখবর যাতে নেন সেই নির্দেশও দিয়েছেন।
 
আরও পড়ুন: মাস্ক না পরে বেরোলে জরিমানার পর মাঝরাস্তা থেকে ফেরত পাঠানো হবে বাড়ি! নির্দেশ স্বরাষ্ট্রসচিবের

ভারত চিন যুদ্ধে শহিদ বেলগড়িয়ার  রাজেশ ওরাং-এর পরিবারের হাতে তৃণমূলের শিক্ষিক সংগঠনের তরফ থেকে ২৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয় ।শুধু শিশু শিক্ষা কেন্দ্রই নয় , রাজেশের মৃত্যু টনক নড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসনিক কর্তাদেরও । গ্রামের রাস্তা থেকে প্রাথমিক স্কুল সবকিছু করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পাচ্ছেন বেলগড়িয়ার গ্রামবাসীরা । বাস্তবায়িত কবে হবে সেদিকেই তাকিয়ে আছেন সবাই ।