নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের যে কোনও ভোটেই ফ্যাক্টর সংখ্যালঘু ভোট। বাংলাও তার থেকে ব্যত্যয় নয়। বঙ্গে ২৮ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট টানতে মরিয়া সব দলই। এই সংখ্যাই ভাগ্য নির্ধারণ করবে অন্তত ৯০টি বিধানসভা আসনে। বিজেপি এই ভোট টানার লড়াইয়ে নেই। লড়াইটা বাম-কংগ্রেস জোট ও তৃণমূলের। কিন্তু, মিম প্রার্থী দিলে সব হিসেব-নিকেশ ঘেঁটে ঘ হবে নিঃসন্দেহে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাচার কমিটির রিপোর্টে দেশে মুসলিম সমাজের বেহাল অবস্থা প্রকট হয়ে উঠেছিল। মুসলিম ভোট ফ্যাক্টরের ধারণা, এরপর আরও জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে। কারণ এখানে কাজ করার জায়গা আছে। কাজ বাকি রেখে, আরও কাজের প্রতিশ্রুতির জায়গা আছে। সে কারণে গোটা দেশেই সংখ্যালঘু ভোটের প্রবণতা মূলত শাসক শিবির ঘেঁষা। বিজেপির আমলে সে অবস্থান ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে। 


সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের ধারণার বাইরে বাংলাও নয়। সংখ্যালঘুদের ২৮ শতাংশ ভোট ক্ষমতা নির্ণায়ক। বাংলার ২৯৪টি আসনের মধ্যে, অন্তত ৯০টি আসনে ফ্যাক্টর সংখ্যালঘু ভোট। ঐতিহাসিক ভাবে রাজ্যে শাসকদলের সঙ্গে মুসলিম ভোটাররা। সেই ভোটব্যাঙ্ক এখন তৃণমূলের দখলে। মালদহ-মুর্শিদাবাদে এখনও সংখ্যালঘু ভোটে কংগ্রেসের বাঁধন কিছুটা শক্ত বটে, কিন্তু তাতেও কাটাকুটি চলেছে বিস্তর। কাটাকুটির খেলা আরও জোরদার হতে চলেছে বঙ্গ রাজনীতিতে মিমের প্রবেশে। আসাদউদ্দিন ওয়েইসির ‘মিম’ মালদহ-মুর্শিদাবাদ এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন আসনে প্রার্থী দিতে পারে। আর এই ভোট কাটাকুটি মাথায় রেখেই সংখ্যালঘুদের মন টানতে উদ্যোগী বিজেপি। সংখ্যালঘু মোর্চাকে দিয়ে বাংলায় অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। 


২০১৪ সালে পোস্ট সাচার ইভ্যালুয়েশন রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। দেখা যায় কোনও রাজ্যই প্রায় সাচার কমিটির সুপারিশ কার্যকর করতে আগ্রহ দেখায়নি। মুসলিম সমাজের অবস্থা, কমবেশি একই থেকে যায়। কিন্তু তাতে রাজনীতি কমেনি। বরং বিভাজন আরও চওড়া হয়েছে। এসবের মধ্যে ধীরে ধীরে প্রভাব বেড়েছে ফুরফুরা শরিফের। কিন্তু এখন সেখানেও ফাটল। 


হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রভাব ত্বহা সিদ্দিকির। প্রত্যেকবারের মতো এবারেও ত্বহার সঙ্গে কথা বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূলের। ত্বহার পাল্টা হিসেবে তাঁর ভাইপো আব্বাস সিদ্দিকি প্রভাব বাড়াচ্ছেন। আব্বাস সিদ্দিকির নজরে ৪৪টির বেশি আসন। ফুরফুরা প্রভাবেও ভোট কাটাকুটির সম্ভাবনা। সংখ্যালঘু ভোট বিভাজন যত চওড়া হবে, চাপে পড়বে তৃণমূল। আর এই ফাঁকফোকর দিয়েই নিজেদের শক্তি বাড়াতে মরিয়া চেষ্টা করছে বিজেপি। 


আরও পড়ুন- মিম বাংলায় এসে কাজ করলে কেউ মানা করতে পারবে না: দিলীপ